প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাসপোর্ট নম্বর চাইল মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। উচ্চশিক্ষার সর্বভারতীয় সমীক্ষার (এআইএসএইচই) পোর্টালে এই তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আপলোড করতে হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জুটা) জানিয়ে দিয়েছে, পাসপোর্ট নম্বর শিক্ষকেরা দেবেন না।
প্রায় দশ বছর আগে এই এআইএসএইচই সমীক্ষা মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক শুরু করেছে। উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, ২০১৫ সালে কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকের কাছে থেকে আধার নম্বর চাওয়া হয়েছিল। তবে তা বাধ্যতামূলক ছিল না। বিষয়টি নিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরই আপত্তি করেছিল। এ বছর কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকদের পাসপোর্ট নম্বর চেয়েছে। এক্ষেত্রেও বিষয়টি বাধ্যতামূলক নয়।
জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় সোমবার জানালেন, তাঁরা পাসপোর্টের নম্বরের মতো ব্যক্তিগত তথ্য জানাবেন না। এই মুহূর্তে এনআরসি, এনপিআর নিয়ে যে বিতর্ক চলছে তার মধ্যে এই তথ্য জানানোর প্রশ্নই ওঠে না। তিনি বলেন, ‘‘অ্যাকাডেমিক তথ্য জানতে চাইলে অবশ্য দেব। এরকম ব্যক্তিগত তথ্য দেব না। কে বলতে পারে এই তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে না!’’ যাদবপুরের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু এ দিন জানান, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এই তথ্য জানতে চেয়েছে। তা অবজ্ঞা করা যায় না। তবে তথ্য জানানো বাধ্যতামূলক নয়। এ দিন জুটা প্রতিনিধিরা রেজিস্ট্রারের কাছে তাঁদের আপত্তি জানাতে যান। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘‘জুটার প্রতিনিধিদের বলেছি তাঁদের আপত্তি লিখিতভাবে জানাতে। আমরা মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে তা জানিয়ে দেব।’’
আরও পড়ুন: তফসিলি–প্রকল্পের পিছনে ‘ভোট’ দেখছেন অনেকেই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy