চাকরিহারাদের বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বীরভূম জেলা শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা প্রলয় নায়েক। —নিজস্ব চিত্র।
প্রাথমিকে চাকরিহারা বীরভূমের প্রায় আটশো জনের শিক্ষক-শিক্ষিকার সঙ্গে বৈঠক করলেন জেলা শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা প্রলয় নায়েক। রবিবার বৈঠকের পর তাঁর আশ্বাস, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে সম্মান জানালেও সেটি চ্যালেঞ্জ করবেন তারা। সেই সঙ্গে চাকরিহারাদের বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার ৩৬ হাজারের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৬-১৭ সালে ৪২ হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়েছিল৷ মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না থাকলেও (অর্থাৎ ডিইএলএড ডিগ্রিহীন হলেও) অনেকের চাকরি হয়েছে। এ ছাড়া, নিয়োগেও ত্রুটি ছিল। ওই অভিযোগ যে সত্য, তা মেনে নিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর পর ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন তিনি।
ওই নির্দেশের জেরে চাকরিহারাদের মধ্যে বীরভূমের প্রায় আটশো জন শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম রয়েছে। রবিবার তাঁদের সকলকে নিয়ে বোলপুর শ্রীনন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ে বৈঠক করেন জেলা সংসদ সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা৷ দীর্ঘ ক্ষণের বৈঠকে বিচারপতির নির্দেশের বিরুদ্ধে আইনি পথে যাওয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, এ নিয়ে চাকরিহারাদের বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দেন সংসদ সভাপতি।
বৈঠক শেষে সংসদ সভাপতি বলেন, ‘‘আদালতের রায়কে সম্মান করি৷ তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাব আমরা৷ এ নিয়ে আইনি পথে যাবে রাজ্য সরকার এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ তা না হলে আমরাই দলীয় ভাবে আইনি লড়াই করব৷ প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতির কোনও প্রশ্নই নেই৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির তরফে শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করেছি। মহামান্য আদালতের নির্দেশের পর আমাদের পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় যাতে চাকরিহারা শিক্ষকেরা যাতে কোনও প্রলোভনের ফাঁদে না পড়েন, তা বলা হয়েছে। কেউ যেন বিভ্রান্ত না হন, এ কথাও বলেছি বৈঠকে।’’
সংসদ সভাপতির আশ্বাস সত্ত্বেও চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেই কার্যত ভেঙে পড়েছেন। বৈঠক শেষে তাঁদের একাংশ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অনেকে আবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। অভিজিৎ মণ্ডল নামে এক শিক্ষকের দাবি, ‘‘আমরা যে দুর্নীতিগ্রস্ত তার কী প্রমাণ রয়েছে? ২০১৬ সালে প্রাথমিকের পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছি। আজ ৬ বছর পর কারও মনে হল যে নিয়োগে অনিয়ম করা হয়েছে। অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে পুরো নম্বর পাওয়া যাবে না, এটা কোন আইনে বলা রয়েছে? আমাদের অনেকেই তো অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে ২,৩ নম্বর পেয়ে চাকরি পেয়েছি। প্রাথমিকে নিয়োগের সমস্ত পদ্ধতি মেনেই আমরা চাকরি পেয়েছি। আমাদের কাছে সে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy