Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Recruitment Scam

ব্রাত্যের দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, নির্দেশে অর্থ সংগ্রহের পথ বিচারপতিই বলে দিলেন

২০১২ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কারচুপির অভিযোগ ওঠে। স্বজনপোষণের মাধ্যমে কয়েক জন প্রার্থী চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি হাই কোর্ট অবধি পৌঁছয়।

image of Justice Abhijit Gangopadhyay

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (বাঁ দিকে)-র দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৪:৩০
Share: Save:

২০১২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে আদালতে মামলাও হয়। এ বার সেই মামলায় রাজ্য শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাই কোর্টের ‘লিগ্যাল এড সার্ভিস’-এ ওই টাকা জমা দিতে হবে। শিক্ষা দফতর ওই টাকা কোথায় পাবে, তারও পথ বাতলে দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ‘দুর্নীতি’র তদন্তে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাঁদের কাছ থেকে নিতে হবে জরিমানার টাকা।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া (২০১২)-য় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কারচুপির অভিযোগ ওঠে। স্বজনপোষণের মাধ্যমে কয়েক জন প্রার্থী চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি হাই কোর্ট অবধি পৌঁছয়। আদালত ২০১৬ সালে শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। কিন্তু সাত বছর পেরিয়ে গেলেও সেই নির্দেশ এখনও কার্যকর হয়নি। বিষয়টি নিয়ে নতুন করে মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। মামলাকারীর আইনজীবী তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন, ২০১২ সালে পূর্ব মেদিনীপুরে যাঁরা স্বজনপোষণের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের নিয়োগ বাতিল করা হোক। একই সঙ্গে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আদালত যাতে তদন্তের নির্দেশ দেয়, সেই আবেদনও জানানো হয়।

মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতেই মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাই কোর্টের ‘লিগ্যাল এড সার্ভিস’-এ ওই টাকা জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে আগামী ছ’সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। হাই কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির যদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা না থাকে, তবে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১২ সেপ্টেম্বর।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy