শিক্ষাগত যোগ্যতার মান নির্ধারণে অনেকটা কাজ এগিয়েছে আদালতের নির্দেশে গঠিত মিত্র কমিটি। সেই কাজে এখন বিঘ্ন ঘটতে দেওয়া যাবে না। মিত্র কমিটির এক সদস্যকে বদলির সিদ্ধান্ত নিয়ে পর্যবেক্ষণ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তাঁর নির্দেশ, কমিটি থেকে ওই সদস্যকে বদলি করা যাবে না। ওই সদস্যের পদন্নোতি হতে কোনও বাধা নেই। কিন্তু আপাতত তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
বিভিন্ন চাকরির প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন আগে পাশ করা প্রার্থীরা। এই দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন এক চাকরিপ্রার্থী। তাঁর যুক্তি, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতকস্তরে আগে পাশ করা প্রার্থীদের নম্বর কম ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে যাঁরা পাশ করেছেন তাঁদের নম্বর বেশি রয়েছে। এমনকি, নতুনদের পাঠ্যসূচি (সিলেবাস) এবং পরীক্ষা পদ্ধতির কারণে সহজেই বেশি নম্বর তোলা যায়। এই অবস্থায় দুই প্রার্থীর যোগ্যতার মান সমান ভাবে মূল্যায়ন করা উচিত। নইলে চাকরির প্রতিযোগিতায় বঞ্চিত হচ্ছেন পুরনোরা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যোগ্যতার এই পার্থক্য নির্ণয়ে অধ্যাপক শুভময় মিত্রের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটিতে শিক্ষা দফতরের মনোনীত সদস্য হিসাবে ছিলেন কৌশিক চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন:
এখন কৌশিকের পদন্নোতি হয়েছে এই যুক্তিতে শিক্ষা দফতর আদালতে আবেদন করে, কমিটি থেকে ওই সদস্যকে সরানো হোক। তাঁর জায়গায় নতুন সদস্য নিয়োগ করা হবে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওই আবেদন নাকচ করে জানান, ওই কমিটির কাজ অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় কোনও সদস্য ছেড়ে চলে গেলে কাজে দেরি হবে। সমস্যাও বাড়বে। তাই ওই সদস্য কমিটিতে থাকবেন। কমিটির কাজ নিয়ে নিজের সন্তোষের কথাও জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, ‘‘কমিটি খুব ভাল কাজ করছে। আগামিদিনে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে তাদের সিদ্ধান্ত দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারে।’’