Advertisement
E-Paper

‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হেনস্থা করছে পুলিশ!’ আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ

আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ খারিজ করার পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, তাঁরা নিজেরাই ওয়েবসাইট বন্ধ করেছেন বলে যে প্রচার শুরু হয়েছে, তা সর্বৈব মিথ্যা।

ধর্মতলার অবস্থানমঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারেরা।

ধর্মতলার অবস্থানমঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারেরা। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৩৪
Share
Save

আরজি করের ঘটনার বিচার চেয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের (ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস’ ফ্রন্ট) তরফে আবার পুলিশি ‘অতিসক্রিয়তার’ অভিযোগ তোলা হল। আবার আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা কয়েকটি অভিযোগের জবাবও দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।

মঙ্গলবার সংগঠনের তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে— ‘‘আন্দোলনের শুরুর দিন থেকে সমাজের সব স্তরের মানুষ আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পথ হেঁটেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং আন্দোলন ক্রমশ বৃহত্তর হতে থাকায় আমরাও সম্মিলিত ভাবে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সিদ্ধান্ত নিই। তা কার্যকরী হওয়ার অন্তর্বর্তী সময়ে বিভিন্ন কলেজের জুনিয়র ডাক্তারেরা নিজেদের মতো করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে কলেজের ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষক, প্রাক্তনী ও পরিচিতদের থেকে আর্থিক সাহায্য গ্রহণ করা শুরু করেন।’’

ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস’ ফ্রন্টের ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ‘প্রচুর পরিমাণে আর্থিক অনুদান’ এসেছিল বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তাঁদের ঘোষণা— ‘‘সকলের কাছে সমস্ত টাকাপয়সার যাবতীয় হিসাব আমরা দেব। ইতিমধ্যে ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টকে হিসাব দেওয়ার জন্যে অ্যাকাউন্টিং ও অডিটিং-এর কাজ চলছে।’’

এর পরেই পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ তোলা হয়েছে বিবৃতিতে। লেখা হয়েছে— ‘‘জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে পুলিশি হেনস্থা অব্যাহত। এক সপ্তাহ আগে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকে পাঠানো হয়। তাঁরা ইতিমধ্যে সকলেই অতিসক্রিয় এই তদন্তে সহযোগিতার জন্য সশরীরে বা ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে হাজির হয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হল কোন অভিযোগের ভিত্তিতে বা কার অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সেই সংক্রান্ত কোনও ডকুমেন্ট বার বার চাওয়া সত্ত্বেও পুলিশ-প্রশাসন এখনও দেননি। বলা হয়েছে কোনও একটি জেনারেল ডায়েরির ভিত্তিতে নাকি এই জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে সেই একই রকম ধোঁয়াশা পুলিশের তরফ থেকে বজায় রয়েছে।’’

জুনিয়র ডক্টরস’ ফ্রন্টের দাবি, পুলিশি প্রশ্নের ধরন মূলত এইটাই, যা টাকা তোলা হয়েছে তা এই স্টেজ বাঁধা, কনভেনশনের ব্যবস্থা করা, অভয়া ক্লিনিকের ওষুধ কেনা, সুপ্রিম কোর্টে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য উকিল দেওয়া ইত্যাদি কারণে কেন খরচ করা হয়েছে? এর পাশাপাশি তাঁদের ওয়েবসাইট, ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ ডট ডব্লিউবিজেডিএফ ডট কম আচমকা কেন কাজ করা বন্ধ করল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, তাঁরা নিজেরাই ওয়েবসাইট বন্ধ করেছেন বলে যে প্রচার শুরু হয়েছে, তা সর্বৈব মিথ্যা।

Junior Doctor RG Kar Medical College and Hospital Incident

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}