—ফাইল ছবি
অবশেষে জঙ্গল খোলার সরকারি ছাড়পত্র মিলল। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জঙ্গল। শুক্রবার রাজ্য বনদফতর এই নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। এই অনুমতি মিললেও করোনা আবহের জন্য রাজ্য বন দফতর বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘আমরা নির্দিষ্ট কিছু বিধিনিষেধ সহকারে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যের বনাঞ্চল পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সকলের কাছে আবেদন, রাজ্য বন দফতরের জারি করা বিধিনিষেধ মেনে জঙ্গল ঘুরুন।’’
জঙ্গল খোলার সিদ্ধান্তে পর্যটন মহল খুশি। হাতি সাফারি বন্ধ রাখার নির্দেশিকা আসায় কিছুটা মনখারাপ পর্যটক ও এই ব্যবসায় জড়িত সকলেরই। পর্যটক ব্যবসায়ীরা জানান, হাতি সাফারি পর্যটকদের কাছে খুব আকর্ষণীয়। হাতি সাফারির টানেই বহু পর্যটক উত্তরবঙ্গে আসেন। তবু এর মধ্যেও জঙ্গল খোলায় তাঁরা খুশি। তাঁদের বক্তব্য, করোনা আবহে সঙ্কটে থাকা পর্যটক ব্যবসায়ী, গাড়িচালক, হোম-স্টের মালিক ও টুরিস্ট গাইডরা ফের বাঁচার অবলম্বন খুঁজে পেলেন।
এ দিন এক নির্দেশিকায় রাজ্য বন দফতর ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ সহকারে পর্যটকদের জন্য বনাঞ্চল খুলে দেওয়ার নির্দেশ জারি করে। জানা গিয়েছে, রিসর্ট বুকিং থেকে জঙ্গলে প্রবেশের টিকিট— সবই অনলাইনে কাটতে হবে পর্যটকদের। তবে এখন রাজ্যের কোথাও হাতি সাফারি চালু হচ্ছে না। পর্যটকদের ফেস কভার বা ফেস শিল্ড পরা বাধ্যতামুলক করেছে বন দফতর। সব পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের যানবাহনেই স্যানিটাইজ়ার রাখতে হবে। জঙ্গল খুললেও কোভিড পরিস্থিতিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকবে বন দফতরের। নির্দেশে বলা হয়েছে, ছ’জনের পরিবর্তে গাড়ি সাফারিতে যেতে পারবেন চারজন পর্যটক। দফতরের অনুমতি ছাড়া পর্যটকেরা কোনও ভাবেই গাড়ি থেকে নামতে পারবেন না জঙ্গলের ভিতর। জঙ্গলে ঢোকার জন্য প্রত্যেকটি গাড়িকে স্যানিটাইজ় করতে হবে বাধ্যতামূলক ভাবে। জঙ্গলে পর্যটক সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দশ বছর বয়সের নিচের শিশু ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সের পর্যটকদের জঙ্গলে ঢুকতে হলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কোভিড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ঘুরতে যাওয়ার নির্দিষ্ট দিনে থার্মাল স্ক্রিনিং পরীক্ষায় কোনও পর্যটক উত্তীর্ণ না হতে পারলে তাঁর বুকিং বাতিল করবে বন দফতর এবং তাঁকে আগাম বুকিংয়ের কোনও অর্থ ফেরত দেওয়া হবে না। ওয়াচ টাওয়ারে একসঙ্গে ২০ জনের বেশি উঠতে পারবেন না। এক বনকর্তা জানান, হোম-স্টে ও রিসর্টগুলিতে পর্যটক সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নদরদারি চলবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন করা হচ্ছে। জঙ্গল খোলার আগে কর্মশালাও করা হবে।
প্রতি বছর বর্ষায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে জঙ্গল পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এ বছর সেদিন না খোলায় আগামী ২১ সেপ্টেম্বর উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দেন পর্যটন ব্যাবসায়ীরা। শুক্রবার জঙ্গল খোলার সিদ্ধান্ত জানার পর সেই আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy