ভার্চুয়াল বৈঠকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা।—ছবি পিটিআই।
আগামী বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে বঙ্গ বিজেপির জন্য লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা। তিনি বৃহস্পতিবার বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটির প্রথম বৈঠকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যোগ দেন। সেখানে তাঁর বক্তৃতার নির্যাস— বঙ্গ বিজেপি খুব অল্প সময়ের মধ্যে দারুণ অগ্রগতি করেছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের সেই গতি ধরে রেখে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ৫০% ভোট নিয়ে তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে হবে। রাজ্যে শাসক ‘পরিবর্তন’-এর ডাক দেওয়ার প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘তোষণমূলক রাজনীতি’ এবং রাজ্যবাসীকে কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করার পুরনো অভিযোগ এ দিন ফের তোলেন নড্ডা।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দলের নেতাদের বলেন, ‘‘আমরা পশ্চিমবঙ্গে ২০১১ সালে দুটি আসন এবং ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিলাম। ২০১৪-এ পেয়েছিলাম দুটি আসন এবং ১৮ শতাংশ ভোট। ২০১৯-এ সেই ভোট ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। আগামী বছর বিধানসভা ভোটে সেটাকে ৫০ শতাংশে নিয়ে যান। আমাদের পশ্চিমবঙ্গে মানুষকে স্বচ্ছ সরকার উপহার দিতে হবে।’’ নড্ডার দাবি, ‘‘মমতাজিও জানেন, তাঁর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। জনতা রাজ্যে পদ্ম শিবিরকে আশীর্বাদ দিতে তৈরি। আমাদের তার জন্য চেষ্টা করতে হবে।’’
ভোটের লক্ষ্যে দলের নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে এ দিন তাঁদের প্রশংসাও করেন নড্ডা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সেবা হি সংগঠন এবং ফিড দা নিডি— দলের এই দুই কর্মসূচিতে বাংলার কর্মীরা খুব ভাল কাজ করেছেন। তার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। তৃণমূল কর্মীরা যখন রেশন চুরিতে ব্যস্ত ছিলেন, তখন আপনারা রেশন, মাস্ক ইত্যাদি বিলি করেছেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে লড়ার ক্ষমতাও আপনাদের আছে।’’
বিজেপির সব পদাধিকারী এবং সাংসদকে জেলা থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত সংগঠন মজবুত করার দায়িত্ব দেওয়ার জন্য এ দিন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নির্দেশ দেন নড্ডা।
নড্ডার অভিযোগ, আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির মতো কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে রাজ্যের জনগণকে বঞ্চিত করেছেন মমতা। নড্ডার কথায়, ‘‘আগামী বিধানসভা ভোটে জনতাকে বলতে হবে, আপনার অধিকার মোদীজি আপনাকে দিচ্ছেন, আর মমতাজি সেটা নিতে দিচ্ছেন না।’’ কেন্দ্রীয় নানা প্রকল্পের কথাও এ রাজ্যের মানুষের কাছে প্রচারের নির্দেশ দেন নড্ডা। করোনা মোকাবিলায় ‘ব্যর্থতা’ এবং রেশন ও আমপান ত্রাণে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ তুলেও মমতাকে খোঁচা দেন নড্ডা। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের একশোর বেশি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এটা জঙ্গলরাজ ছাড়া কী? যিনি নিজেকে গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন বলে তুলে ধরেন, এ ক্ষেত্রে তাঁর নীরবতা কি দ্বিচারিতা নয়?’’ বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙা-কাণ্ড নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধতে গিয়ে নড্ডা বলেন, ‘‘তৃণমূল কর্মীরা বিশ্বভারতীতে জমি মাফিয়াদের সঙ্গে মিলে রাজনীতি করছে। বিশ্বভারতীর এই অবস্থায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মা কাঁদছে। বাংলার মানুষ শিক্ষিত। তাঁরা তৃণমূলকে ক্ষমা করবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy