ধর্মতলামুখী মিছিলে ডিএ-আন্দোলনকারীরা। নিজস্ব চিত্র
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবিতে আরও সুর চড়ালেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। পূর্বঘোষণা মতোই বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে মোট দু’টি মিছিল শহিদ মিনারের উদ্দেশে এগোতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আড়ে-বহরে মিছিলের আয়তন বাড়তে থাকে। দুপুর ২টো নাগাদ দু’টি মিছিলই ধর্মতলায় পৌঁছলে তীব্র যানজট তৈরি হয়। মধ্য কলকাতায় কিছু সময়ের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীদের অবস্থানমঞ্চে এসে উপস্থিত হয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং মহম্মদ সেলিম। কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচীও উপস্থিত ছিলেন ওই মঞ্চে। কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ না দিতে পারার জন্য তো বটেই, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর ডিএ আন্দোলনকারীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে সরব হন তাঁরা। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে কৌস্তুভ বলেন, “এই রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও রকম সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ করা যাবে না। লাগাতার অসহযোগ আন্দোলন করতে হবে। যত দিন না দাবি আদায় হয়, তত দিন এই আন্দোলন চলবে।”
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলন করছে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। মূলত এই সংগঠনের উদ্যোগেই বৃহস্পতিবার শহিদ মিনার ময়দানে মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। শহিদ মিনারমুখী দু’টি মিছিল থেকেই সরকারবিরোধী স্লোগান ওঠে। কখনও স্লোগান তুলে বলা হয়, “ডিএ দিতে না পারা সরকার, আর নেই দরকার”, কখনও বা পুলিশের কাছে গিয়ে সমস্বরে বলা হয়, “পুলিশ তোমার ডিএ বাকি, এই মিছিলে হাঁটবে নাকি?”
যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে তাপস চক্রবর্তী বলেন, “আমরা তিনটি দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাব। এআইসিপিআই অনুযায়ী কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দ্রুত মিটিয়ে দিতে হবে। সমস্ত শূন্যপদে দ্রুত এবং স্থায়ী নিয়োগ করতে হবে এবং সরকারি বিভিন্ন পদে যোগ্য এবং অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী পদে নিযুক্ত করতে হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর চোর-ডাকাত মন্তব্য নিয়েও সরব হন তিনি। গত বুধবারই ধর্নামঞ্চ থেকে ডিএ-র দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ‘চোর-ডাকাত’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে দাঁড়িয়েই বললেন, ‘‘এরা সব চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল, সেই চোর-ডাকাতগুলোই গিয়ে বসে আছে ডিএ-র মঞ্চে।’’ এই প্রসঙ্গে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, “আমরা দাবি আদায়ের জন্য লড়াই করছি। অথচ মুখ্যমন্ত্রী আমাদের চোর-ডাকাত বলে দেগে দিচ্ছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy