কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। — ফাইল চিত্র।
রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ যে সব রাজ্য দিয়ে যাবে না, সেখানে রাজ্যওয়াড়ি পৃথক পদযাত্রার পরিকল্পনা নিয়েছে সর্বভারতীয় কংগ্রেস। যা ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’রই বৃহত্তর মানচিত্রের অঙ্গ। এই তালিকায় আছে বাংলাও। কিন্তু ‘ভারত জোড়ো’ কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতা জয়রাম রমেশ ও দিগ্বিজয় সিংহের কলকাতা সফরের আগে রাজ্যে পদযাত্রার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হল না বাংলায়। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, বর্ষা ও উৎসবের মরসুমের কথা মাথায় রেখেই ভেবেচিন্তে এগোতে হচ্ছে তাঁদের।
দক্ষিণ ভারতে রাহুলের পদযাত্রা সাড়া পাচ্ছে, ধীরে ধীরে ওই কর্মসূচি ঘিরে উৎসাহের পারদও চড়ছে। আরএসএস-বিজেপির বিভাজনের নীতির মোকাবিলায় এবং মানুষের রুটি-রুজির সমস্যাকে সামনে রেখে এই ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার তাৎপর্য গোটা দেশে প্রচার করার কর্মসূচি নিয়েছে এআইসিসি। যে সব রাজ্যে রাহুল যাচ্ছেন না, সেখানে পদযাত্রার কর্মসূচি ঠিক করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রদেশ কংগ্রেসের উপরেই ছাড়া হয়েছে। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সমন্বয়ের ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি-র দুই নেতা রমেশ ও দিগ্বিজয়ের গুয়াহাটি হয়ে কলকাতা পৌঁছনোর কথা কাল, শুক্রবার রাতে। পর দিন তাঁরা বিধান ভবনে কংগ্রেসের এই কর্মসূচি ব্যাখ্যা করবেন। কিন্তু বাংলায় রাজ্য স্তরের পদযাত্রার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা তাঁরা করতে পারবেন না, কারণ ওই কর্মসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দিগ্বিজয়েরা ১৮ সেপ্টেম্বর থাকবেন ভুবনেশ্বরে। আর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এ রাজ্যের পদযাত্রা নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন ১৯ সেপ্টেম্বর।
অধীরবাবুর বক্তব্য, একে বৃষ্টি চলছে, তার উপরে পুজোর মরসুম। এর মধ্যে দলের কর্মী-সমর্থকদের নামিয়ে বড় কর্মসূচি সংগঠিত করা মুশকিল। পরিস্থিতি বিবেচনা করেই তাঁরা পদযাত্রার সূচি চূড়ান্ত করবেন এবং রাহুলের ‘ভারত জোড়ো’ শেয হওয়ার আগেই তা হয়ে যাবে। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র এ রাজ্যের সমন্বয়ের ভারপ্রাপ্ত নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, জেলায় জেলায় পদযাত্রা শুরু হয়েছে। প্রদেশ স্তরের পদযাত্রা এর পরে চূড়ান্ত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy