Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

‘জয় শ্রীরাম’-এর পাল্টা, পোস্টকার্ডে এ বার ‘জয় হিন্দ’

বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা চিঠি পাঠাতে শুরু করেছে। এ বার পাল্টা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে ‘জয় হিন্দ’ লেখা পোস্ট কার্ড পাঠানো শুরু করল তৃণমূল।

‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রীকে ‘জয় হিন্দ’ লেখা পোস্টকার্ড পাঠাতে লাইন দিয়েছেন তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকেরা। মঙ্গলবার দমদম এলাকায়। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রীকে ‘জয় হিন্দ’ লেখা পোস্টকার্ড পাঠাতে লাইন দিয়েছেন তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকেরা। মঙ্গলবার দমদম এলাকায়। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

 নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৯ ০৩:৩২
Share: Save:

‘জয় শ্রীরাম’-এর বদলা ‘জয় হিন্দ’।

বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা চিঠি পাঠাতে শুরু করেছে। এ বার পাল্টা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে ‘জয় হিন্দ’ লেখা পোস্ট কার্ড পাঠানো শুরু করল তৃণমূল। মঙ্গলবার দক্ষিণ দমদমের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রায় ১০ হাজার পোস্টকার্ড প্রধানমন্ত্রীর দিল্লির বাসভবনের ঠিকানায় পাঠানো হয়।

ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহই প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ঠিকানায় ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পোস্টকার্ড পাঠানোর কথা জানিয়েছিলেন। সেই মতো তিনি নিজেও মুখ্যমন্ত্রীর ঠিকানায় এই পোস্টকার্ড পাঠাতে শুরু করেন। তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপি নেতাদের ঠিকানায় ‘জয় হিন্দ’ ও ‘জয় বাংলা’ লেখা পোস্টকার্ড পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূলও। সেই সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সহ একাধিক নেতার ফোন নম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে দলের এই স্লোগান লিখে পাঠানোর কর্মসূচি জানিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দিলীপবাবু বলেন, ‘‘অনেকেই ওই স্লোগান লিখে পাঠাচ্ছেন। কেউ কেউ ফোন করছেন। আমি তো জবাব দিচ্ছি। খারাপ তো কিছু নয়।’’

এদিকে দমদমের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁরা প্রচুর সংখ্যায় পোস্টকার্ড প্রধানমন্ত্রীকে পাঠাতে চান। কিন্তু পোস্টকার্ড অমিল বলে আপাতত ১০ হাজার পাঠানো হল।

এ দিন সকাল থেকে পোস্টকার্ড বিলি করা হয় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কানোয়ার কলোনিতে। সেগুলিতে লেখা হয় ‘জয় হিন্দ’, ‘বন্দে মাতরম’, এবং ‘জয় বাংলা।’

দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘জয় শ্রীরাম’ বলাটা অপরাধ বা খারাপ নয়। কিন্তু, স্থান-কাল নির্বাচন এবং বলার ধরণ দেখে তার উদ্দেশ্য বোঝা যায়। বিজেপির ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। বেছে বেছে মুখ্যমন্ত্রী এবং আমাদের নেতা-মন্ত্রীদের লক্ষ্য করে রাজনৈতিক দাবি আদায়ের স্লোগানের ঢঙে তা বলা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীকে তাঁরা বোঝাতে চান, এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়। বাংলার মানুষ জয় হিন্দ-বন্দে মাতরম-এ বিশ্বাসী। তিনি বলেন, ‘‘কোরাণ বা বাইবেলের বাণী উচ্চারণও তো খারাপ নয়। কিন্তু আমরা যদি প্রধানমন্ত্রী বা তাঁর দলের নেতা-মন্ত্রীদের গাড়ি আটকে তা বলতে শুরু করি, সেটা কি ভাল হবে?’’

অন্য বিষয়গুলি:

Politics BJP TMC Jai Shree Ram
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy