Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Jagdeep Dhankhar

সমাবর্তন ঘিরে আচার্যের টুইট, বাড়ল বিতর্ক 

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পরিষ্কার বক্তব্য, পদ্ধতি মেনেই আচার্য তথা রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

জগদীপ ধনখড়। —ফাইল ছবি

জগদীপ ধনখড়। —ফাইল ছবি

অরিন্দম সাহা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:১৭
Share: Save:

পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের আমন্ত্রণপত্রে তাঁর নাম না থাকার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীশ ধনখড়।

বুধবার টুইট করে ওই সমাবর্তনে তাঁকে ‘আমন্ত্রণ’ না জানানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পরিষ্কার বক্তব্য, পদ্ধতি মেনেই আচার্য তথা রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সব মিলিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারির ওই সমাবর্তন ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

রাজ্যপালের এ দিনের টুইটের বক্তব্য, কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং বিনয়কৃষ্ণ বর্মণকে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আচার্য, যাঁর ওই অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করার কথা, তাঁর কাছেই ওই ব্যাপারে কোনও তথ্য নেই! বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য ওই অভিযোগ মানতে চাননি। উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বিধি মেনেই সম্মাননীয় আচার্যকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। নির্দিষ্ট সময়মতো অপেক্ষা করেছি। কিন্তু কোনও জবাব পাইনি। অনুমতি না মেলায় কার্ডে তাই নাম ছাপা যায়নি। তবু উনি সমাবর্তনে যোগ দিলে আমরা তাঁকে স্বাগত জানাতে তৈরি।” রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের অনুমান, এমন পরিস্থিতি ঘিরে ফের রাজ্য-রাজ্যপালের বিরোধ বাড়তে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আচার্যের অনুপস্থিতিতে সমাবর্তনে তাঁর কাজের দায়িত্ব পালন করবেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে এই উল্লেখই রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রশাসনিক কর্তার কথায়, ‘‘এখন নিয়ম আলাদা। শিক্ষা দফতরের মাধ্যমে সবকিছু হয়। আমরা পদ্ধতি মেনেই সমস্ত কাজ করছি।’’ যদিও শিক্ষা মহলের একাংশের বক্তব্য, সমাবর্তনে আচার্য অনুপস্থিত থাকবেন, সেটা কাঙ্ক্ষিত নয়। তেমন হলে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফি বছর যার নামাঙ্কিত ওই বিশ্ববিদ্যালয় সেই মনীষী পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে সমাবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই হিসেবেই এবার ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তার দাবি, আমন্ত্রণপত্র ছাপতে দেওয়ার আগেই বিধি মেনে আচার্যের কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। তাঁর অনুমতির জন্য কিছুদিন অপেক্ষাও করা হয়। কোনও সাড়া না মেলায় বাধ্য হয়েই তাঁর নাম ছাড়াই আমন্ত্রণপত্র ছাপা হয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy