রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন ব্যবস্থা নিয়ে এ বার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শাসকদল সংগঠনের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সম্প্রতি রাজ্যের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং উপাচার্যকে রাজভবনে ডেকেছিলেন তিনি। রাজ্যপালের অভিযোগ, তাঁরা কেউ দেখা করতে আসেননি। শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিয়ে টুইট করেছেন তিনি। সেখানেই এই অভিযোগ করেছেন।
রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘মমতা সরকারের আমলে শিক্ষাব্যবস্থায় চিত্রটা ভয়াবহ। রাজ্যের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আচার্য এবং উপাচার্য রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে এলেন না। রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা চলছে।’ অপর একটি টুইটে রাজ্যপাল স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের একটি ঘটনার কথা। সে সময় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেননি বলে অভিযোগ ধনখড়ের। এই দু’টি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘আইনের নয়, শাসকের আইনের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থায়। ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।’ তাঁর আরও অভিযোগ, আচার্যের অনুমোদন ছাড়া মমতার সরকার যে ভাবে উপাচার্যদের নিয়োগ করেন, তাও আইনের প্রহসন। টুইটে আপলোড করা ভিডিয়োয় ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন)-কে এ নিয়ে তদন্ত করার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।
Emergence of Unionism with State Universities VCs in January 20 & now with Pvt Univ indicative of intense fear quotient and reflective of Rule of ruler and not law. VCs being appointed @MamataOfficial without Chancellor authorisation mockery of law. Forced to take lawful stance. pic.twitter.com/OoFCRp83SQ
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 24, 2021
যদিও রাজ্যপালের এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘উনি রাজনীতি করার জন্যই এসেছেন। রোজই নানা ধরনের কথা বলে থাকেন। ওঁর সব কথা শুনতে হবে, সব কথায় পাত্তা দিতে হবে, এর কোনও মানে নেই।’’
রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এর আগেও একাধিকবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসাবে ‘কর্তৃত্ব ফলানোর’ অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।অতিমারি পর্বের আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে একাধিকবার বিক্ষোভের সম্মুখীনও হতে হয়েছিল তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy