সিঙ্গুরের বিডিও অফিসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সোমবার। ছবি: দীপঙ্কর দে
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ফের ক্ষুব্ধ। এবার কারণ হেলিকপ্টার না পাওয়া।
আজ মঙ্গলবার রাস উৎসবে যোগ দিতে রাজ্যপালের শান্তিপুর সফরের জন্য সরকারের কাছে হেলিকপ্টার চেয়েছিল রাজভবন। প্রশাসনিক কারণে সরকার তা দিতে পারবে না বলায় রাজ্যপালের অসন্তোষ জানিয়ে নবান্নকে পাল্টা চিঠি দেওয়া হয়েছে। ধনখড়ের আজ সড়কপথে শান্তিপুর যাওয়ার কথা।
রাজ্যপালের কথায়, ‘‘কতটা অসৌজন্য! একদিনের জন্য হেলিকপ্টার চাইলেও তা দেওয়া যাবে না জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে চিঠি পাঠানো হয়।’’ সূত্রের খবর, গত ৪ নভেম্বর নবান্নের তরফে রাজভবনের চিঠির জবাব পাঠানো হয়েছে।
নবান্ন সূত্রের খবর, যে হেলিকপ্টারটি রাজ্য সরকার ভাড়া নিয়ে রেখেছে সেটি প্রয়োজনে যাত্রীদের নিয়ে মালদহ, বালুরঘাট, গঙ্গাসাগর যাতায়াত করে। তা ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের অন্য মন্ত্রীর সফর ও প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার করা হয়। সোমবার সেই কপ্টারেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঝড়ে বিধ্বস্ত বিভিন্ন এলাকা আকাশপথে পর্যবেক্ষণ করেন। বুধবার ওই হেলিকপ্টারেই তিনি উত্তর ২৪ পরগনার দুর্গত অঞ্চল দেখবেন বলে ঠিক আছে। সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে যে কোনও আপতকালীন প্রয়োজনে সরকারি হেলিকপ্টারটি এখন লাগতে পারে।
আরও পড়ুন: সমাবর্তনে রীতি ভাঙা নিয়ে প্রশ্ন
সোমবারই বিশ্বভারতীর সমবর্তন সেরে শান্তিনিকেতন থেকে ফেরার পথে দুর্গাপুরে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আকাশপথে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। অন্য এজেন্সির কাছেও খবর নিচ্ছি। যদি প্রয়োজন মনে করি, নিশ্চয় যাব। ক্ষতিগ্রস্তদের কেউ যাতে বিপাকে না পড়েন তা নিশ্চিত করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির কাছে আবেদন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকুন।’’
কলকাতায় ফেরার পথে এদিনই সিঙ্গুরের বিডিও অফিসে রাজ্যপালের উপস্থিতি ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বিডিওর ঘরে বসে কথাবার্তা বলা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। হুগলি জেলা সূত্রে খবর, রাজ্যপাল ফেরার পথে সিঙ্গুর বিডিও অফিসের ‘ওয়াশরুম’ ব্যবহার করতে পারেন বলে তাঁর দফতর থেকে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বুলবুলের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পুনর্গঠনে জোড়া টাস্ক ফোর্স মমতার
কিন্তু তিনি সেখানে বসে কথাবার্তা বলবেন, নানা লোকের মতামত শুনবেন— তার প্রস্তুতি বা খবর প্রশাসনের কাছে ছিল না। তাই সেখানে সরকারি পদাধিকারীও ছিলেন না।
তবু ধনখড় যে-ভাবে ফের প্রকাশ্যে ‘দরবার’ খুলে বসলেন, তা নিয়ে নবান্নে উষ্মা তৈরি হয়েছে। সিঙ্গুরে রাজ্যপালের কাছে কিছু লোক জানান, এখানে (কারখানার জমিতে) কোনওরকম কৃষিকাজ শুরু হয়নি। কেউ কেউ এ নিয়ে তাঁকে হস্তক্ষেপ করতেও বলেন। ধনখড় তাঁদের ‘আশ্বস্ত’ করেন, ‘‘রাজভবনের দরজা প্রত্যেকের রাজ্যবাসীর জন্য খোলা। রাজভবনের টুইটার হ্যান্ডলে যে কেউ কিছু জানাতে পারেন। আমি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিঙ্গুরে আসব। সংশ্লিষ্ট জমি ঘুরে-দেখে মতামত জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy