ফাইল চিত্র।
কারণ নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে বিজ্ঞান ও কলা বিভাগে এ বার খালি আসনের সংখ্যাটা যে সাম্প্রতিক কালের রেকর্ড, সেই বিষয়ে দ্বিমত নেই। এই অবস্থায় কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের ফাঁকা আসন পূরণে আবার ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের বিষয়টি রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতিতে অনুমোদিত হয়েছে।
বিজ্ঞান ও কলা বিভাগের শূন্য আসন পূরণের জন্য আবার ভর্তি শুরু করার অনুমতি চেয়ে কিছু দিন আগে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরকে চিঠি দিয়েছিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। রবিবার কর্মসমিতির ভার্চুয়াল বৈঠকের পরে উপাচার্য জানান, উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল, ফাঁকা আসন পূরণের বিষয়টি কর্মসূচিতে অনুমোদন করে আবার তাদের কাছে (উচ্চশিক্ষা দফতরে) পাঠাতে হবে। এ দিন কর্মসমিতির ভার্চুয়াল বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, বিজ্ঞান শাখায় এ বার রসায়ন বিভাগে ৪০, গণিতে ৩৪, পদার্থবিদ্যায় ১৯, ভূতত্ত্বে ১৮ এবং ভূগোলে ১৩টি আসন ফাঁকা থেকে গিয়েছে। কলা শাখার মধ্যে সব থেকে বেশি আসন খালি আছে সংস্কৃত (৩৪), বাংলা (২৬), তুলনামূলক সাহিত্য (২৪), দর্শন (২২) এবং সমাজতত্ত্ব (১৬) বিভাগে। অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং ইতিহাস বিভাগেও কয়েকটি আসন খালি আছে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৪৮৭টি শূন্য আসন।
যাদবপুরের মতো দেশের অন্যতম সেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ বার এত আসন খালি কেন, সেই প্রশ্ন উঠছে শিক্ষা-সহ বিভিন্ন শিবিরে। অনেকের বক্তব্য, ঘেরাও-সহ লাগাতার নানা আন্দোলন ও গোলমালে বিরূপ প্রভাব পড়ছে যাদবপুরের ভাবমূর্তিতে। বহু ছাত্রছাত্রী যে ক্রমশ যাদবপুর-বিমুখ হয়ে উঠছেন, এটা তার অন্যতম কারণ হতে পারে। এই বিতর্কের মধ্যেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ৪৮৭টি শূন্য আসন পূরণের জন্য বিকেন্দ্রীভূত পন্থায় পড়ুয়া ভর্তির প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কলা ও বিজ্ঞান শাখার বিভিন্ন বিষয়ের ফাঁকা আসন পূরণের জন্য উচ্চশিক্ষা দফতরের অনুমতি প্রয়োজন। কর্মসমিতির বৈঠকে পাশ হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি এ বার ওই দফতরে যাবে। ভর্তি প্রক্রিয়া আবার শুরু করার দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে দেবে উচ্চশিক্ষা দফতরই। এর আগে স্নাতক স্তরে ভর্তির সময়সীমা ধার্য ছিল ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ছাত্র সংসদেরই বিভিন্ন দাবিদাওয়াকে ঘিরে বেশ কিছু দিন ধরে যাদবপুর ক্যাম্পাসে অশান্তি চলছে। শনিবারেও উপাচার্যের উপস্থিতিতে বৈঠক চলে বেশি রাত পর্যন্ত। এ দিনেও কর্মসমিতির বৈঠকে ইঞ্জিনিয়ারিং ও কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে নানান দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy