ফাইল চিত্র।
জেলে বসে লেখা সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা নিয়ে এ বার মামলা করতে পারবে রাজ্যের পুলিশ। শুক্রবার বিধাননগরে সাংসদ-বিধায়কদের (এমপি-এমএলএ) বিরুদ্ধে মামলার বিচারে গঠিত বিশেষ আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। তবে চিঠি পাওয়ার পরেও পুলিশ কেন তদন্ত শুরু করেনি তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিচারক। তিনি জানিয়েছেন, কোনও বন্দির এমন চিঠির ভিত্তিতে পুলিশ চাইলে স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই তদন্ত করতে পারে।
আইনজীবীদের একাংশ বলছেন, শেষ লেখা ১৭ পাতার চিঠিতে যাঁদের বিরুদ্ধে সুদীপ্ত অভিযোগ করেছেন, এ বার তাঁদের ডেকে জেরা বা প্রয়োজনে অন্য ব্যবস্থাও নিতে পারবে রাজ্য পুলিশ। বিশদে বললে, এই চিঠিতে মূলত মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন সুদীপ্ত। এই দুই প্রাক্তন তৃণমূল নেতা এখন বিজেপি-তে। তাই এখন এই দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে পুলিশ।
২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট যাবতীয় বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। তা হলে কী করে এখন রাজ্য সরকার আবার তদন্ত করতে পারবে? সুদীপ্তর অভিযোগ নিয়ে রাজ্য পুলিশ যাতে তদন্ত করতে পারে, তার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুক্রবার তিনি দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরে সিবিআই যখন পশ্চিমবঙ্গে সারদা বা অন্য অর্থলগ্নি সংস্থার মামলা নিজেদের হাতে তুলে নেয়, তখন সব মামলা নেয়নি। সিবিআই তখন বলেছিল, যে যে মামলায় রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই চার্জশিট জমা দিয়ে দিয়েছেন সেই সব মামলা সিবিআই নেবে না।
কুণালের দাবি, হুগলির চন্দননগর আদালতে সারদা তথা সুদীপ্তর সেনের নামে এমনই একটি চার্জশিট জমা পড়েছিল। কিন্তু, সেই সময়ে পুলিশ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৫ নম্বর ধারায় আবেদন করে জানায় যে ওই মামলায় আরও তদন্ত করার অবকাশ রয়েছে এবং পরে তা নিয়ে সাপ্লিমেন্টারি (অতিরিক্ত) চার্জশিট দেওয়া যেতে পারে। পরে মামলাটি বিশেষ আদালতে স্থানান্তরিত হয়। সেই মামলাটির প্রেক্ষিতেই এ দিন আবেদন করা হয় যে ওই মামলায় এখনও যেহেতু তদন্তের অবকাশ রয়েছে, তাই সুদীপ্তর লেখা চিঠিকে বিচারযোগ্য বলে গ্রহণ করা হোক।
তবে অনেকে এও দাবি করেছেন, সিবিআই যে মামলার তদন্ত করছে সেখানেও চিঠিটি জমা পড়েছে। ফলে চিঠি নিয়ে আইনি জটিলতা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy