Advertisement
E-Paper

অনুষ্ঠানে বিজেপি-ফেরত, ক্ষুব্ধ ‘আদি বাম’ অভিনেতারা

বিধানসভা ভোটের আগে টলিউজের আরও অনেক মুখের সঙ্গে এঁরাও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং ভোটের পরে গেরুয়া শিবির ত্যাগ করেছেন।nnnnn

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২১ ০৮:৫১
Share
Save

অতিমারির সময়ে বিপন্ন মানুষের জন্য শ্রমজীবী ক্যান্টিন খুলে সমাজের নানা অংশের সাধুবাদ কুড়িয়েছিল সিপিএম। যাদবপুরের সেই শ্রমজীবী ক্যান্টিনের ৫০০ দিন পূর্তির অনুষ্ঠানই তাদের ফেলল বিড়ম্বনায়! বামেদের পরিষেবামূলক কাজের মঞ্চে অংশগ্রহণকে ঘিরে বিবাদ বাধল বিশিষ্ট ও টলিউডের কলাকুশলীদের দু’দলের মধ্যে। যাকে অনেকে বিজেপি এবং তৃণমূলের আদলে সিপিএমেও ‘আদি ও নব্যের দ্বন্দ্ব’ হিসেবেই দেখছেন!

শ্রমজীবী ক্যান্টিনের ৫০০ দিন উপলক্ষে সোমবার যাদবপুরে মিছিলে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, বিকাশ ভট্টাচার্য, কল্লোল মজুমদার, পলাশ দাস-সহ সিপিএমের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের অনেকেই। ক্যান্টিনের অনুষ্ঠানেই এ দিন দেখা যায় অভিনেতা অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রূপা ভট্টাচার্যকে। বিধানসভা ভোটের আগে টলিউজের আরও অনেক মুখের সঙ্গে এঁরাও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং ভোটের পরে গেরুয়া শিবির ত্যাগ করেছেন। বিজেপি থেকে ‘হতাশ’ হয়ে ফেরত আসা এমন লোকজনকে বাম মঞ্চে দেখা গেলে সিপিএমের সঙ্গে সংস্রব তাঁরা ত্যাগ করবেন বলে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্রেরা। যাঁরা বিধানসভা ভোটে টানা সিপিএমের হয়ে প্রচারে ছিলেন!

বিজেপি ছেড়ে সিপিএমের অনুষ্ঠানে কেন? অনিন্দ্য এ দিন বলেন, ‘‘কারণ, সিপিএমই একমাত্র বিকল্প। বৌদ্ধিক লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের শক্ত জায়গায় ঘা দিতে হয়। ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’রা তাদের কাজের মাধ্যমে সেটাই করছে।’’ আর রূপার বক্তব্য, ‘‘বিপন্ন মানুষকে খাবার দেওয়ার মতো সামাজিক কর্মসূচিকে রাজনৈতিক রং দিয়ে দেখা উচিত নয়। যাঁদের হাতে এঁরা খাবার তুলে দিচ্ছেন, তাঁদের কি জিজ্ঞাসা করেছেন, ভোটটা আমাদের দিয়েছেন কি না? এই সামাজিক কাজের পাশে থাকতে চাই।’’ কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে রাহুল, শ্রীলেখাদের পাল্টা বক্তব্য, বিজেপি থেকে আসা এমন লোকজনকে বাম মঞ্চে ঠাঁই দেওয়া হলে সিপিএমের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। শ্রীলেখার মন্তব্য, ‘‘এই ধরনের লোকেরাই আমাদের সম্পর্কে নানা কটূক্তি করেছেন। অনেক অপমান এবং কষ্ট সহ্য করেই বলছি, এঁরা থাকলে সিপিএমের কাজকর্মের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়তে হবে।’’ আর রাহুলের বক্তব্য, সিপিএমের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখেও বামপন্থী থাকা যায়।

এমন টানাপড়েনের মুখে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজনবাবুর ব্যাখ্যা, ‘‘ওঁরা (অনিন্দ্যেরা) এসেছিলেন বলে শুনেছি। কেন্দ্র ঠিক রেখেই বৃত্ত বড় করতে হবে। তবে কোথাও গোলমাল হয়ে থাকলে যাঁরা এই বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাঁদের কথা বলতে বলব।’’

CPIM BJP Rahul Banerjee

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}