টাটাদের গাড়ি কারখানার জন্য একসময়ে অধিগৃহীত সিঙ্গুরের সেই জমি চাষিরা ফিরে পেলেও অনেক জায়গাতেই এখনও তাঁরা চাষ করতে পারছেন না
টাটাদের গাড়ি কারখানার জন্য একসময়ে অধিগৃহীত সিঙ্গুরের সেই জমি চাষিরা ফিরে পেলেও অনেক জায়গাতেই এখনও তাঁরা চাষ করতে পারছেন না। সেই জমির একাংশকে পুরোপুরি চাষয্যেগ্য করে তুলতে রাজ্য সরকার এ বার ছ’কোটি টাকা অনুমোদন করেছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই অন্তত ২৫০ একর জমিকে নতুন করে চাষযোগ্য করার কাজ ফের শুরু করবে সেচ দফতর। সিঙ্গুরের বিডিও পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই জমি সমান করতে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া হয়ে গিয়েছে।’’
সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দুধকুমার ধাড়া বলেন, ‘‘ওই ২৫০ একরের কোনও জায়গায় মাটি সরে গিয়েছে, কোথাও মাটি বেশ উঁচু। সেই সব মাটি কেটে সমান করতে হবে। পাশাপাশি নিকাশি নালাগুলিকেও যতটা সম্ভব আগের চেহারায় ফেরানোর চেষ্টা হবে। পুরনো সরকারি ম্যাপ আছে। তা দেখেই ওই কাজ শুরু করবে সেচ দফতর।’’
টাটাদের গাড়ি কারখানার জন্য সিঙ্গুরের প্রায় হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। ২০১৬-তে সুপ্রিম কোর্ট ওই অধিগ্রহণকে অবৈধ ঘোষণা করে রাজ্য সরকারকে চাষিদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই সময় রাজ্যের তৃণমূল সরকার ওই জমিকে চাষযোগ্য করেই ফিরিয়ে দিতে মাঠে নামে। কিন্তু চাষিরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ তুলছিলেন, বিচ্ছিন্ন ভাবে প্রকল্প এলাকার কিছু জমিতে চাষ করা গেলেও সার্বিক ভাবে করা যাচ্ছে না। অনেক জায়গায় জল জমে থাকছে। কোথাও কোথাও উলুখাগড়া, আগাছার জঙ্গল হয়ে গিয়েছে।
টাটাদের প্রকল্প তৈরির আগে ওই জমিতে বেশ কিছু প্রাকৃতিক নিকাশি নালা ছিল। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে সেই সব নালা দিয়েই বৃষ্টির বাড়তি জল সরাসরি জুলকিয়া খালে গিয়ে পড়ত। রাজ্য সরকার জমিকে চাষযোগ্য করার কাজ করলেও নিকাশি ব্যবস্থাকে পুরোপুরি আগের চেহারায় ফিরিয়ে দেওয়া যায়নি। এখনও বর্ষায় ওই জমির অনেক জায়গার আলগা মাটি সরে গিয়ে পুকুরের চেহারা নেয়। ফলে, জমি ফেরত পেলেও বহু চাষিই তা চাষের কাজে লাগাতে পারছেন না। রাজ্য সরকারের কাছে তাঁরা ওই জমি যাতে চাষের উপযুক্ত করা যায় সেই আবেদনও জানিয়েছিলেন।
এ সব কথা জানতে পেরে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার ইতিমধ্যে ওই জমির অবস্থা খতিয়ে দেখে গিয়েছেন। তারপরই রাজ্য সরকার ওই টাকা বরাদ্দ করে বলে প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy