প্রতি বছর বাংলায় অন্তত দেড় লক্ষ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। আগে তেমন ভাবে সুযোগ না থাকলেও, এখন সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই চিকিৎসার সুযোগ বেড়েছে। এমনকি, খুব শীঘ্রই সরকারি স্তরে বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেসে ‘গামা নাইফ’–এর ব্যবহার শুরু হবে। মস্তিষ্কের টিউমার থেকে অন্যান্য জটিল অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত হবে ওই বিকিরণ চিকিৎসা পদ্ধতি। মঙ্গলবার ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস, কলকাতা (আইএনকে)-র ১৬তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমন কথা জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। রোগীর চাপ কমাতে এবং স্নায়ুরোগের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে ইতিমধ্যেই ৮০ একর জমিতে ‘স্নায়ুতীর্থ’ তৈরির কাজ শুরু করেছে ‘আইএনকে’। প্রথম ধাপে ৬০৫ শয্যার হাসপাতাল, ১৫০ আসনের মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হবে। হাসপাতালের কর্ণধার আর পি সেনগুপ্ত জানান, পরবর্তী পর্যায়ে বাকি জমিতে জৈব গবেষণা কেন্দ্র, স্পোর্টস মেডিসিন নিয়ে গবেষণা, স্নায়ু চিকিৎসা ও গবেষণার বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে। অনুষ্ঠানে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী শাস্ত্রজ্ঞানন্দ, টেনিস খেলোয়াড় লিয়েন্ডার পেজ়-সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)