১৬টি ট্রেন আর চলবে না।
১৬টি ট্রেন আর চলবে না। লাভ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। এই ট্রেনগুলির সবক'টিই বাংলা, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের মধ্যে চলে। সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনে একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে এই তথ্য জানিয়েছে রেল। বাতিল হয়ে যাওয়া সবক’টি ট্রেনই দক্ষিণ-পূর্ব রেলের। কেন এই ট্রেনগুলির চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হল, তার যুক্তি হিসেবে রেল জানিয়েছে, এই ট্রেনগুলিতে পর্যাপ্ত যাত্রী হচ্ছে না। অলাভজনক হিসেবে চিহ্নিত করেই ট্রেনগুলি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই বাতিল ট্রেনের মধ্যে বাংলার পাঁচ জোড়া রয়েছে। হাওড়া-পুরুলিয়া আপ ও ডাউন লালমাটি এক্সপ্রেস আর চলবে না। একই ভাবে বাতিল আপ ও ডাউন খড়্গপুর-পুরুলিয়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। এ ছাড়াও আপ ও ডাউন শালিমার-আদ্রা রাজ্যরানি এক্সপ্রেস, ঝাড়গ্রাম-পুরুলিয়া বিরসা মুন্ডা এক্সপ্রেস, খড়্গপুর-হিজলি মেমু ট্রেনটি আর না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। করোনা পরিস্থিতিতে অনেক ট্রেনই বাতিল ছিল। তারই মধ্যে এই ট্রেনগুলি পুরোপুরি না চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বাতিল হওয়া ট্রেনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাঁচি-পটনা এসি এক্সপ্রেস। ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে বিহারের রাজধানী পটনাগামী এই ট্রেনটি কোডারমা, হাজারিবাগ হয়ে যেত।
খড়্গপুর-পুরুলিয়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস এবং শালিমার-আদ্রা রাজ্যরানি এক্সপ্রেস একটা সময়ে বাংলায় খুবই জনপ্রিয় ট্রেন ছিল। একই ভাবে পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম বিরসা মুন্ডা এক্সপ্রেস, খড়্গপুর-হিজলি মেমু ট্রেনগুলির মাধ্যমে স্থানীয় যাত্রীরা উপকৃত হতেন। কিন্তু রেলের বক্তব্য, ইদানীং এই ট্রেনগুলিতে একেবারেই যাত্রী হচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy