উত্তর-দক্ষিণ যোগাযোগ গড়তে চালু কিছু ট্রেন। —ফাইল চিত্র
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরোধিতায় অশান্তির জেরে প্রায় তিন দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ কার্যত বিচ্ছিন্ন। অচলাবস্থার জেরে ভোগান্তির মুখোমুখি হাজার হাজার মানুষ। প্রতি দিনই বাতিল হচ্ছে বহু ট্রেন। সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী উত্তর-পূর্ব সীমান্ত এবং পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ কিছু ট্রেন চালিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছেন। অন্য দিকে সড়কপথ সচল করতে সচেষ্ট রাজ্য সরকারও। অতিরিক্ত ২৫০টি বাস পথে নামছে বৃহস্পতিবার থেকে।
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার থেকেই দু’দিকে বেশ কিছু ট্রেন চালানো হবে। এ দিন আপ গুয়াহাটি-সরাইঘাট এক্সপ্রেস, বালুরঘাট-তেভাগা এক্সপ্রেস, শিলচর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড়-কামরূপ এক্সপ্রেস চলবে। এই লাইনে বৃহস্পতিবার চালানো হবে দার্জিলিং মেল, বামনহাট-উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেস।
রেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, উত্তরবঙ্গ থেকে মঙ্গলবার রওনা হওয়া দার্জিলিং মেল, বুধবারের গরিব রথ এক্সপ্রেস, শিলচর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস আজই ছাড়বে। ছাড়বে মাঝপথে দাঁড়িয়ে থাকা তিরুঅনন্তপুরম এক্সপ্রেস ও কলকাতা এক্সপ্রেস। বৃহস্পতিবার চালানো হবে শতাব্দী এক্সপ্রেস, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন: বৈঠকে সন্তুষ্ট রাজ্যপাল, কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য সিএএ বিরোধী বিজ্ঞাপন নিয়ে
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের জেরে যখন উত্তর-দক্ষিণের ট্রেন পরিষেবা একেবারে বন্ধ, তখন সমস্যা তৈরি হয়েছে বাস পরিষেবা নিয়েও। চাহিদার তুলনায় সরকারি এবং বেসরকারি বাসের সংখ্যা এত দিন অনেকটাই কম থাকায় সক্রিয় হয়েছে দালাল চক্র। সেই সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে পথে নেমেছে রাজ্য সরকারও। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, কলকাতা-শিলিগুড়ি রুটে বৃহস্পতিবার থেকে অতিরিক্ত ২৫০টি বাস চালানো হবে। শিলিগুড়ি-কলকাতা রুটে ৫০টি অতিরিক্ত বাস চলবে। পঞ্চাশটি অতিরিক্ত বাস বরাদ্দ করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার জন্য। অতিরিক্ত ১৩টি বাস চালানো হবে কলকাতা-মালদহ-রুটে। অতিরিক্ত কিছু বাস বরাদ্দ হয়েছে রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটের জন্য।
আরও পড়ুন: উত্তর-দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিকের পথে, দেখে নিন কোন কোন ট্রেন চালু হচ্ছে
কোথাও স্টেশনে ভাঙচুর, আগুন, কোথাও লাইন উপড়ে ফেলা কিংবা ট্রেনে আগুন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি-র প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির জেরে গত পাঁচ দিন ধরেই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy