Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

মাথায় চিন, বঙ্গোপসাগরে নামছে দ্রুতগতির যুদ্ধজাহাজ

বঙ্গোপসাগরে চিনের উপস্থিতি নিয়ে বারবারই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গোয়েন্দারা। সে কথা মাথায় রেখেই পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে ‘অনমোল’ নামে নতুন একটি দ্রুতগতির জাহাজ মোতায়েন করা হচ্ছে।

কলকাতা বন্দরে ‘অনমোল’। উপস্থিত রাজ্যপাল।— নিজস্ব চিত্র।

কলকাতা বন্দরে ‘অনমোল’। উপস্থিত রাজ্যপাল।— নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৫ ১৪:৪৭
Share: Save:

বঙ্গোপসাগরে চিনের উপস্থিতি নিয়ে বারবারই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গোয়েন্দারা। সে কথা মাথায় রেখেই পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে ‘অনমোল’ নামে নতুন একটি দ্রুতগতির জাহাজ মোতায়েন করা হচ্ছে। উপকূলরক্ষী সূত্রের খবর, সাধারণ হাল্কা ও ভারী মেশিনগানের পাশাপাশি হলদিয়া বন্দরে রাখা ওই জাহাজে থাকছে বিমানবিধ্বংসী বফর্স মেশিনগানও। তার ফলে চোরাকারবারি দমন এবং টহলদারির পাশাপাশি বড় রকমের জঙ্গিহানা কিংবা শত্রুদেশের মোকাবিলাও করতে পারবে এই জাহাজ।

বৃহস্পতিবার কলকাতা বন্দরের আন্দামান ডকে ‘অনমোল’-কে বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীও উপকূল নিরাপত্তায় চিনের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। তিনি বলেন, ‘‘চিন এবং কয়েকটি প্রতিবেশী দেশের কৌশলগত অবস্থানের জন্য উপকূলরক্ষী বাহিনীর গুরুত্ব বাড়ছে।’’

২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর থেকে উপকূলীয় নিরাপত্তা বাড়ানোর উপরে জোর দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ওই হামলার ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে সেনা ও গোয়েন্দাকর্তারা দেখেছিলেন, জেলেদের ডিঙি নৌকো করেই এ দেশে ঢুকেছিল আজমল কাসভেরা। তার পর থেকেই উপকূলীয় নিরাপত্তা বাড়াতে বিশেষ প্রকল্প নিয়েছে কেন্দ্র। উপকূলীয় বাহিনী সূত্রের খবর, নিরাপত্তা প্রকল্পে এ রাজ্য-সহ গোটা দেশের উপকূল জুড়েই রেডার নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে। এ রাজ্যের সাগরদ্বীপ, পূর্ব মেদিনীপুরের দাদনপত্রবাড়ে রেডার বসছে। আগামী দিনে ফ্রেজারগঞ্জেও রেডার বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।

উপকূলরক্ষী বাহিনীর কর্তারা বলছেন, বিদেশি শক্তি এবং জঙ্গিহানার প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার উপকূল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখানে একাধিক বন্দর তো রয়েইছে তার উপরে বিভিন্ন প্রতিরক্ষা সংস্থার অফিস এবং ঘাঁটিও রয়েছে। সে কারণেই পূর্ব উপকূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার উপরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর এক কর্তার কথায়, ‘‘বর্তমানে পাকিস্তানের থেকে চিনকে আমরা অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। পূর্ব উপকূলের নিরাপত্তাও সেটা মাথায় রেখেই ঢেলে সাজা হচ্ছে।’’

এ দিন জাহাজের উপকূলরক্ষী বাহিনীর আইজি কৃপা নটিয়্যাল জানান, রেডার নেটওয়ার্ক ছাড়াও বাহিনীর সাজসরঞ্জামও বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে ১১৬টি জলযান এবং ৬২টি বিমান রয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে ১৫০টি জলযান এবং ১০০টি বিমান ও হেলিকপ্টার চলে আসবে। তাঁর কথায়, ‘‘হেলিকপ্টার নামতে পারবে এমন সাতটি জাহাজ নিয়ে আসা হচ্ছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy