Advertisement
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
Poor Train Service

বহু ট্রেনই রোজ ছুটছে দেরিতে, নাজেহাল যাত্রীরা

সম্প্রতি সারা দেশে বিভিন্ন জ়োনের ট্রেনের ছোটার সময় পর্যালোচনা করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বয়ং রেলবোর্ডও। চলতি অর্থবছরে গড়পড়তা ৮০ শতাংশ সময়ানুবর্তিতাও ধরে রাখা যাচ্ছে না।

representational image

—প্রতীকী ছবি।

ফিরোজ ইসলাম 
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩ ০৮:২৬
Share: Save:

দেশ জুড়ে দ্রুত গতির বন্দে ভারত নিয়ে সরকারি প্রচারের হইচই চললেও গত কয়েক মাসে দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়ে চলা নিয়ে নাজেহাল যাত্রীরা। অভিযোগ, শীতের মরশুমে কুয়াশার কারণে দেরিতে চলা উত্তর ভারতগামী ট্রেনের সময়ানুবর্তিতাকেও পিছনে ফেলেছে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি।

সম্প্রতি সারা দেশে বিভিন্ন জ়োনের ট্রেনের ছোটার সময় পর্যালোচনা করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বয়ং রেলবোর্ডও। চলতি অর্থবছরে গড়পড়তা ৮০ শতাংশ সময়ানুবর্তিতাও ধরে রাখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বোর্ডের কর্তারা। সময়-নিষ্ঠা কমতে কমতে ওই পরিসংখ্যান এসে ঠেকেছে ৭৩.২৬ শতাংশে। ১০টি জ়োনের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে পাঁচটি জ়োনে ৬০ শতাংশের কম ক্ষেত্রে ট্রেন সময়ে চলেছে।

সব চেয়ে করুণ অবস্থা দক্ষিণ-পূর্ব-মধ্য রেলের। সেখানে সময়ানুবর্তিতা মাত্র ৩৮.২৪ শতাংশ। সময়নিষ্ঠায় রেল বোর্ডের ঠিক করে দেওয়া লক্ষ্য মাত্রার (৮০ শতাংশ) চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে পূর্ব রেল (৬৪.৫৫ শতাংশ) এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেল (৭১.৯৩ শতাংশ)।
ট্রেনের বিলম্বের কারণে সারা দেশের ৩৩টি ডিভিশনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি সংশোধনের কথা বলেছে রেল বোর্ড। তার মধ্যে রয়েছে পূর্ব রেলের হাওড়া এবং আসানসোল, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর এবং চক্রধরপুর, উত্তর-সীমান্ত রেলের কাটিহার, পূর্ব-উপকূল রেলের কুরদা রোড, উত্তর রেলের লখনউ, উত্তর-মধ্য রেলের আগরা এবং প্রয়াগরাজ (এলাহাবাদ)-সহ একাধিক ডিভিশন।

রিপোর্ট অনুসারে পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের সময়ানুবর্তিতা (৪৭.৫৯ শতাংশ) কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। আসানসোলের অবস্থা মন্দের ভাল (৬৯.৩৫ শতাংশ)। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর এবং চক্রধরপুরের সময়ানুবর্তিতার হার যথাক্রমে ৬৭.৯ এবং ৭৬.৭৩ শতাংশ। দূরপাল্লার ট্রেনের সময়ানুবর্তিতার এমন বেহাল দশা কেন? আধিকারিকদের দাবি, একাধিক অঞ্চলে ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে ‘রক্ষণাবেক্ষণ’-এর কাজ চলছে। যার প্রভাব পড়ছে সময়ানুবর্তিতায়। রক্ষণাবেক্ষণ পর্ব মিটলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে যাত্রীরা রেলের ব্যাখ্যায় পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। দূরপাল্লার ট্রেনের পাশাপাশি নিত্যযাত্রীদের ভুগতে হচ্ছে শহরতলির লোকাল ট্রেন নিয়েও। যদিও বোর্ডের পর্যালোচনায় শহরতলির ট্রেনের কোনও উল্লেখ নেই। সময়ের ঠিকঠিকানা নেই সেখানেও। সঙ্গে অহরহ ট্রেন বাতিলের দুর্ভোগ। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পূর্ব রেলের হাওড়া এবং আসানসোল ডিভিশনের। রক্ষণাবেক্ষণের পর্ব মিটে কবে সেখানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে, তা নিয়ে শঙ্কায় যাত্রীরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Indian Railways Express Train
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy