উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে রামনবমীর মিছিলে রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় জেলা তৃণমূল সভাপতি (বাঁ দিকে) কানাইয়ালাল আগরওয়াল ও রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানির। বৃহস্পতিবার। ছবি: অভিজিৎ পাল।
রামনবমীতে অস্ত্র হাতে মিছিল দেখা গেল বিভিন্ন জেলায়। আবার, বিভিন্ন মিছিলে দেখা গেল সৌহার্দ এবং সম্প্রীতির ছবিও।
দুই দিনাজপুর, মালদহের বিভিন্ন জায়গায়, বীরভূমের রামপুরহাট, সাঁইথিয়া, সিউড়ি, হুগলির আরামবাগ-সহ নানা এলাকায় রামনবমীর মিছিলে অস্ত্র হাতে লোকজনকে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। রায়গঞ্জ, ইসলামপুর শহর থেকে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার মতো কিছু এলাকায় বাঁশ, লাঠি হাতে মিছিলে হাঁটেন অনেকে। মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরে হাঁসুয়া, বর্ধমানে ছুরি নিয়ে শোভাযাত্রায় যোগ দেওয়ার ছবিও দেখা যায়। পুলিশের সামনেই ডিজে বক্স বাজানোর অভিযোগ ওঠে অনেক জায়গায়। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের ময়না থেকে কাছারি মাঠ পর্যন্ত বড় মিছিলে বহু যুবকের হাতেই অস্ত্র ছিল। পুলিশের সামনেই তরোয়াল হাতে দেখা যায় অনেককে। হুগলির চুঁচুড়ার কাপাসডাঙার শোভাযাত্রায় অস্ত্র ছিল বলে অভিযোগ। কাঁকিনাড়ায় তরোয়াল, রাম-দা হাতে শোভাযাত্রা হয়।
এ দিন অনেক মিছিলে মহিলাদের ভাল উপস্থিতি নজরে পড়ে। রায়গঞ্জে সংখ্যালঘু মহিলাদের নিয়ে মিছিল করে সম্প্রীতির বার্তা দেন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। ইসলামপুরে মিছিলে রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ও রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানির সৌজন্য বিনিময় হয়। নানা এলাকায় তৃণমূল এবং বিজেপি আলাদা শোভাযাত্রা করে। আবার বীরভূমের দুবরাজপুর, বোলপুর, পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে শোভাযাত্রায় বিজেপি ও তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি হাঁটতে দেখা যায়। ডায়মন্ড হারবারে মিছিলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূলের কিছু নেতাকেও দেখা গিয়েছে। তৃণমূলের রাজর্ষি দাস বলেন, “রাম কারও একার নয়।” কাঁকিনাড়াতেও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় শাসক-বিরোধী দু’পক্ষের নেতা-কর্মীদের পা মেলাতে দেখা যায়। হাঁটেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ, ভাটপাড়া পুরসভার উপ-পুরপ্রধান দেবজ্যোতি ঘোষ, সিআইসি অমিত গুপ্ত, প্রাক্তন কাউন্সিলর সোহন প্রসাদ চৌধুরী, তৃণমূল নেতা দীপক সাউ প্রমুখ। বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সম্পাদক উত্তম অধিকারীকেও শোভাযাত্রায় পা মেলাতে দেখা যায়।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট, হরিরামপুর ও উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে মিছিলে যোগ দেন। বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ খড়্গপুরে মালঞ্চের সঙ্কটমোচন মন্দিরে পুজো দিয়ে আখড়ার সূচনায় হাতে তুলে গদা প্রদর্শন করেন, লাঠিখেলাও দেখান। তবে তাঁকে পা মেলাতে দেখা যায়নি শোভাযাত্রায়। দিলীপ বলেন, ‘‘মুসলমানদের আপনারা (তৃণমূল) সম্পত্তি বানিয়ে নিয়েছেন।... তাঁরা এ বার খেলা দেখাতে শুরু করেছেন। মুর্শিদাবাদ থেকে খেলা দেখানো শুরু হয়েছে।’’ মেদিনীপুরে রামনবমী উদ্যাপন কমিটির মিছিলে শামিল হন তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া। দিলীপের গদা প্রদর্শনের বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy