প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভূগর্ভে আর্সেনিক থাকলেও, তার প্রভাব থাকে না নারকেলের জলে। রাজ্যের সাতটি জেলার আর্সেনিকপ্রবণ এলাকায় গবেষণা চালিয়ে দাবি করলেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, কলকাতা বা ‘আইসার’-এর গবেষকেরা। পাশাপাশি ক্যানসার ও বাতাসে থাকা কার্বন ডাই-অক্সাইডকে আরও ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা সংক্রান্ত গবেষণার কথাও শুক্রবার জানায় ‘আইসার’।
এ দিন এক সাংবাদিক বৈঠকে ওই প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গবেষণার মাধ্যমে কী সামনে আসছে, তা সাধারণ মানুষকেও জানানো আমাদের কর্তব্য।’’ আইসারের ভূবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোপালকৃষ্ণ দারভা জানান, পরিবেশে জল ও মাটিতে থাকা বিভিন্ন দূষিত পদার্থ খাদ্য দ্রব্যের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করছে। বিষয়টি চিন্তা করে মালদহ, দুই ২৪ পরগনা-সহ সাতটি জেলার ভূগর্ভস্থ মাটি, জল এবং সেখানে জন্মানো গাছের নারকেলের জল ও শাঁস সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘আলু, টম্যাটো, পেঁয়াজের মত আনাজে একরকমের মাধ্যম রয়েছে। যার দ্বারা ভূগর্ভস্থ আর্সেনিক ওই আনাজেও প্রবেশ করে। কিন্তু নারকেলে সেই মাধ্যম থাকে না।’’
বিশ্ব উষ্ণায়নের একটি অন্যতম কারণ, প্রতিনিয়ত বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া। কিন্তু ওই গ্যাস এতটাই নিষ্ক্রিয় পদার্থ, যে সেটিকে খুব বেশি ব্যবহারের উপযোগী করে তোলাও মুশকিল বলে জানান রসায়ন বিজ্ঞানের অধ্যাপক স্বাধীন মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘ওই গ্যাসের খুব বেশি বিক্রিয়ার কথা জানা নেই। তবে ওই গ্রিনহাউস গ্যাসের নতুন একটি বিক্রিয়া বের করেছি। যা দিয়ে রাসায়নিক তৈরি করে শিল্পের কাজে ব্যবহার করা যাবে।’’
মানব শরীরের কোষের স্থিতাবস্থা কেন ভেঙে গিয়ে ক্যানসার বা ওই জাতীয় রোগ হচ্ছে সেই গবেষণাও অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানাচ্ছেন জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাহুল দাস। তাঁর কথায়, ‘‘সকলের ক্ষেত্রেই কোষের স্থিতাবস্থা নষ্ট হচ্ছে তাও নয়। তাহলে নষ্টের কারণের পাশাপাশি কী ভাবে স্থিতাবস্থা বজায় থাকছে সেটিও গবেষণায় দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy