Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Rudranil Ghosh

‘বিজেপি সম্পর্কে কিছু জানি না, তার আগে সেই দল সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেব কী ভাবে’

বাংলা ফিল্ম এবং টেলিভিশনের অনেক পরিচিত মুখই নাম লিখিয়ে ফেলেছেন গেরুয়া শিবিরে। তার মধ্যেই একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে গরহাজির তৃণমূলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। অতএব তাঁকে ঘিরেও জোর জল্পনা।

ঈশানদেব চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৯ ১৯:৫৯
Share: Save:

টলিউডে দ্রুত প্রভাব বাড়াতে শুরু করেছে বিজেপি। বাংলা ফিল্ম এবং টেলিভিশনের অনেক পরিচিত মুখই নাম লিখিয়ে ফেলেছেন গেরুয়া শিবিরে। তার মধ্যেই একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে গরহাজির তৃণমূলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। অতএব তাঁকে ঘিরেও জোর জল্পনা।

হাওয়া বুঝে রুদ্রনীলও কি ‘ডিগবাজি’ খেলেন?

তৃণমূল ছেড়ে এ বার বিজেপিতে নাম লেখানো কি সময়ের অপেক্ষা?

আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেশ কিছু প্রশ্নের বিশদ জবাব দিলেন রুদ্রনীল। বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি করলেন ধোঁয়াশাও।

প্রশ্ন: আপনি পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের কতটা ঘনিষ্ঠ, সেটা কারও অজানা নয়। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে আপনাকে না দেখতে পাওয়াটা সবার কাছেই তাই অস্বাভাবিক ঠেকেছে। কেন অস্বাভাবিক? কেন গেলেন না? এক কথায় বলতে পারবেন?

রুদ্রনীল: না, এক কথায় বলতে পারা কঠিন। দেখুন, আমি তো রাজনৈতিক জীবিকার মানুষ নই, তাঁদের মতো করে বলতে পারার দায়ও আমার নেই। আমার মনে হয়েছে, আধিপত্য বিস্তারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কথা ছোড়াছুড়ি, রক্তারক্তি, প্রাণহানি যে ভাবে রাজ্যে ঘটছে, তা বন্ধ হওয়ার জন্য কোনও সক্রিয় উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি না। এটা আমাকে খুব বিচলিত করেছে। তাই যাইনি।

প্রশ্ন: একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে না গিয়ে এই হানাহানি আপনি কী ভাবে আটকাতে পারবেন। বরং সেই মঞ্চে হাজির হয়েই তো তৃণমূল নেতৃত্বকে বলতে পারতেন যে, যা হচ্ছে, তা ঠিক হচ্ছে না।

রুদ্রনীল: রাজনৈতিক জমি দখলের যে রাজনীতিটা বাংলায় এখন চলছে, সারা ক্ষণ হুঙ্কার ছাড়ার যে রাজনীতিটা চলছে, একুশের মঞ্চেও যে তার ব্যতিক্রম ঘটবে না, তা আমার জানাই ছিল। তাই যাইনি।

প্রশ্ন: একুশের মঞ্চটা কি শেষ পর্যন্ত সেই হুঙ্কারের মঞ্চেই পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন?

রুদ্রনীল: হ্যাঁ, তাই তো হয়েছে। কাটমানির পাল্টা ব্ল্যাকমানি— একুশের মঞ্চটা কি এই বার্তা দেওয়ার জায়গা? আমি বলছি, আপনার গায়ে কাদা লেগে রয়েছে। কথাটা শুনে তো আগে আপনার কাদা মুছে ফেলা উচিত। তা না করে আপনি বলছেন— ওই দেখুন, ওর গায়েও কাদা।

প্রশ্ন: আপনি ঠিক কী বার্তা চেয়েছিলেন একুশের মঞ্চ থেকে?

রুদ্রনীল: একুশে জুলাই তো একটা আবেগের দিন। ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন পুলিশের গুলিতে। কী কারণে প্রাণ হারিয়েছিলেন? সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র প্রবর্তনের দাবিতে। অত্যন্ত ভাল একটা দাবি নিয়ে পথে নেমে এত জন প্রাণ দিয়েছিলেন— একুশের সমাবেশ থেকে তো প্রতি বার তাঁদের কথাই বলা উচিত। তাঁদের বলিদানকে স্মরণ করা উচিত। তা না করে কী নিয়ে কথা হল? শুধু রাজনৈতিক জমি দখলের হুঙ্কার শোনা গেল। আমি জানতাম, এটাই হবে। তাই যাইনি।

‘‘কাটমানির পাল্টা ব্ল্যাকমানি— একুশের মঞ্চটা কি এই বার্তা দেওয়ার জায়গা?’’ প্রশ্ন রুদ্রনীলের।

প্রশ্ন: আপনি যখন থেকে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ হয়েছেন, তখনও কি আর একুশের মঞ্চ থেকে শহিদদের নিয়ে খুব বেশি কথা শোনা যেত?

রুদ্রনীল: অন্তত সাধারণ মানুষের কথা শোনা যেত। সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের বিষয়গুলো প্রতিফলিত হত। বস্তুত, সেটা দেখেই তো তৃণমূলকে সমর্থন করেছিলাম। এর আগের সরকার অর্থৎ বামফ্রন্ট সরকার তো মানুষের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজগুলোও করত না। রাস্তাঘাট, আলো, পরিকাঠামো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ভাল নিকাশি ব্যবস্থা, ভাল স্বাস্থ্য পরিষেবা— এগুলোও তো হত না। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো দেখিয়ে দিয়েছিলেন, এই কাজগুলো সরকার করতে পারে। তাই সমর্থন করেছিলাম, তৃণমূলের মঞ্চে এসেছিলাম।

প্রশ্ন: ওই কাজগুলো কি এখন আর হচ্ছে না?

রুদ্রনীল: সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করাটা আসলে এখন পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে। এখন সামনে চলে এসেছে রাজনৈতিক জমি দখল করার বিষয়টা। কে কতটা দখলদারি কায়েম করতে পারবে। ক্ষমতার এই আস্ফালন আমার সহ্য হচ্ছে না। আমি তো ২৪ ঘণ্টার রাজনৈতিক কর্মী নই। আমি রাজনৈতিক পেশার মানুষও নই। তাই এ সবের মধ্যে থাকার দায়ও আমার নেই।

প্রশ্ন: কিন্তু অনেকেই এখন বলছেন, রুদ্রনীল ঘোষ ‘ডিগবাজি’ খেয়েছেন। বাম জমানায় সিপিএমের সঙ্গে, পরিবর্তনের আঁচ পেয়ে তৃণমূলের সঙ্গে, এ বার হাওয়া বদল টের পেয়ে বিজেপির সঙ্গে।

রুদ্রনীল: বিজেপিতে কি আমি যোগ দিয়েছি? দিইনি তো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই তো বলেছিলেন— অভিমান করে মুখ ফিরিয়ে নেবেন না, ভুল হয়ে থাকলে আমাকে বলুন। ধরে নিন, তাঁকেই বললাম যে, এগুলো ভুল হচ্ছে। কিন্তু ভুলটাকে ধরিয়ে দেওয়ার অর্থ তো এই নয় যে আমি বিজেপি হয়ে গিয়েছি।

প্রশ্ন: কিন্তু বামেরা দুর্বল হওয়ার পরে তাদের ছেড়ে তৃণমূলের দিকে আসা— একে কী বলবেন?

রুদ্রনীল: বামপন্থী তো আমি এখনও। একটা সময় সক্রিয় বামপন্থী রাজনীতি করতাম। সিপিএমের সংগঠনের সঙ্গেই ছিলাম। কিন্তু সিপিএমের কাছে এখানকার সমস্যা গৌণ হয়ে গিয়েছিল। তাঁরা, কিউবা, ভিয়েতনাম, ভেনেজুয়েলা নিয়ে গল্প শোনাতেই বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। ওটা বামপন্থা নয়। মানুষের পাশে থাকাটা হল বামপন্থা। সেই বামপন্থায় আমি এখনও আছি। বামপন্থা তো কোনও নির্দিষ্ট দলের সম্পত্তি নয় যে, সেই দলের সঙ্গে না থাকলে আমাকে বামপন্থী বলা যাবে না।

প্রশ্ন: তা হলে আপনি বলছেন, এখন তৃণমূলের কাছেও মানুষের সমস্যা গৌণ হয়ে গিয়েছে? ঠিক যেমন সিপিএমের ক্ষেত্রে ঘটেছিল?

রুদ্রনীল: আমার বলার কী আছে! ভোটের ফলাফলেই তো স্পষ্ট। লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ১৮টা আসনে জিতে গেল। এর থেকে কি স্পষ্ট হয় না, মানুষের ক্ষোভটা কোথায় পৌঁছেছে? মানুষ মনে করছেন, এই সরকার আমার কথা ভাবছে না। তাই এই রায় দিচ্ছেন। আমিও মানুষের সেই রায়ের পাশেই থাকছি।

প্রশ্ন: কিন্তু বিষয়টা তো ঠিক উল্টো হওয়া উচিত ছিল।

রুদ্রনীল: কী রকম?

প্রশ্ন: আপনি তো সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, আপনি তো বিশিষ্ট নাগরিকদের অন্যতম। আপনাদের মতামতের উপরে ভিত্তি করেই তো জনমত তৈরি হবে, জনমত গঠনে আপনাদের মতো বিশিষ্টরা নেতৃত্ব দেবেন— হওয়া তো উচিত এই রকম। তার বদলে জনগণ নিজেদের রায় দিচ্ছেন, আপনারা সেটাকে অনুসরণ করছেন— এমনটা হবে কেন?

রুদ্রনীল: আমি কলকাতায় বসে কতটুকু বুঝতে পারি? আমি একটা শহরকেন্দ্রিক জীবন যাপন করি। কিন্তু সেটা তো ছোট পশ্চিমবঙ্গ। বড় পশ্চিমবঙ্গটা তো গ্রাম বা মফস্সলেই। সেখানে কী ঘটে যাচ্ছে, আমি তো বুঝতে পারছি না। মানুষের রায় দেখার পরে বুঝতে পারছি যে, সেখানে ভাল কিছু হচ্ছে না। তাই শাসক দলকে আমার মতো করে সে কথাটা মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

প্রশ্ন: গ্রাম বা মফস্সলে না থাকলে কি সেখানকার ভাল-মন্দ টের পাওয়া যায় না? টেলিভিশন এবং ইন্টারনেটের যুগে এই কথাটা বিশ্বাসযোগ্য?

রুদ্রনীল: না, টের পাওয়া যায় না। মিডিয়া কি তুলে ধরতে পেরেছিল আদৌ যে, গ্রামাঞ্চলে ঠিক কী ঘটে যাচ্ছে? ডায়মন্ড হারবারে কী ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটছিল, কোনও মিডিয়া তা লিখেছে? কোনও মিডিয়া দেখিয়েছে? যা আমরা জানতে পেরেছি, তা পেরেছি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়ো থেকে। কিন্তু সব ঘটনা তো আর সোশ্যাল মিডিয়াতেও আসে না। পুরো পরিস্থিতিটার আঁচ তো সোশ্যল মিডিয়া থেকে মেলে না। তাই বোঝা যায়নি। ভোটের ফল দেখে বোঝা যাচ্ছে।

প্রশ্ন: তা হলে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে আপনি তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, এখন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর দেখতে পাচ্ছেন না?

রুদ্রনীল: আমি কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কোনও মন্তব্য কোথাও করিনি। তবে তাঁকে যারা সারা ক্ষণ ঘিরে থাকেন, যাঁদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তিনি রাজ্যটাকে চালান, তাঁরা সব সময় ঠিক তথ্য দেন না। আমার মনে হয় সমস্যাটা সেখানেই।

প্রশ্ন: অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চার পাশে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডোবাচ্ছেন?

রুদ্রনীল: আপনি নিজেই দেখুন না। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বললেন? বললেন, অঞ্জনা বসু নাকি তিন বার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তা তো দেননি। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই তথ্য যিনি দিয়েছেন, তিনি ভুল তথ্য দিয়েছেন। আর তার ভিত্তিতে মন্তব্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই হেয় হচ্ছেন। দলনেত্রীর বোঝা উচিত এবং চিহ্নিত করা উচিত, দলের কারা কারা তাঁর অপমানের কারণ হয়ে উঠছেন।

প্রশ্ন: তা হলে কি আপনি এখন বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়লেন।

রুদ্রনীল: বিজেপি-কে আমি কাছ থেকে দেখার সুযোগই তো পাইনি এখনও। এ রাজ্যে বিজেপি তো সদ্য সাংগঠনিক ভাবে বাড়তে শুরু করেছে। তাদের চরিত্র বা আচার-আচরণের পূর্ণাঙ্গ ছবি এখনও আমার চোখের সামনে তৈরি হয়নি। ছবিটা তৈরি হওয়ার আগে বিজেপির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব কী ভাবে? তবে কেন্দ্রে যে সরকার রয়েছে, তারা সব কাজ খারাপই করে, কোনও ভাল কাজ করে না— এমনটা আমি মনে করি না। রাজ্যের ক্ষেত্রেও তেমনটা ভাবি না।

প্রশ্ন: পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিন্তু এখনও দাবি করছেন আপনি তৃণমূলেই রয়েছেন। আপনি কোথাও যাচ্ছেন না।

রুদ্রনীল: পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো তৃণমূলের মহাসচিব। তাঁর অবস্থান থেকে যা বলার বলেছেন তিনি। আর তিনি আমাকে যতটা চেনেন-জানেন, তার ভিত্তিতেই বলেছেন।

প্রশ্ন: তার মানে আপনি তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছেন?

রুদ্রনীল: আমি ভাল উদ্যোগ বা ভাল কাজের সঙ্গে থাকি। ভুল মনে হলে মন খুলে বলি। তাতে সাময়িক কারও খারাপ লাগলে আমি দুঃখিত। কিন্তু আমি সত্য গোপন করব আর কোনও চেনা মানুষের তাতে ক্ষতি হয়ে যাবে, এটা আমি মানতে পারি না।

প্রশ্ন: স্পষ্ট করে বলুন না একটু। বিজেপিতে কি যাচ্ছেন? নাকি তৃণমূলেই থাকছেন?

রুদ্রনীল: দার্জিলিং গেলেও জানিয়ে যাব।

প্রশ্ন: বাংলা ফিল্ম ও টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির যে সব পরিচিত মুখ সম্প্রতি বিজেপি-তে গেলেন, তাঁরা প্রায় সবাই বলছেন, টলিউডে এখন মৌরসিপাট্টা চলছে, টলিউডে শ্বাসরোধী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কাজ করা যাচ্ছে না। আপনারও কী তাই মনে হয়?

রুদ্রনীল: কার মৌরসিপাট্টা? যাঁরা বলছেন যে মৌরসিপাট্টা তৈরি হয়েছে, তাঁরা নাম করে বলুন।

প্রশ্ন: নামও তো কেউ কেউ করছেন। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং তাঁর ভাই স্বরূপ বিশ্বাসের দিকে আঙুল তুলছেন।

রুদ্রনীল: যদি কেউ অরূপ বিশ্বাস বা স্বরূপ বিশ্বাসের দিকে আঙুল তোলেন এবং বিজেপিতে যোগ দেন, তা হলে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে দলনেত্রীর ভাবা উচিত। যাঁরা বিজেপিতে গিয়েছেন, তাঁরা তো কেউই বিজেপিতে ছিলেন না। তাঁরা নিরপেক্ষ ছিলেন বা তৃণমূলের সমর্থক ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী যদি মনে করেন যে, কয়েকটি নামের কারণে বিজেপি টলিউডে পা ফেলতে সক্ষম হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী যদি মনে করেন যে, কয়েকটি নামের কারণে নিরপেক্ষ মানুষ বা সমর্থক মানুষ বিরোধীতে পরিণত হচ্ছেন, তা হলে সেই নামগুলোর বিরুদ্ধে অবশ্যই পদক্ষেপ করা উচিত। আর যদি মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, বিজেপিতে যাচ্ছে যাক, তাঁর কিছু যায় আসে না, তা হলে যেমন চলছে তেমনই চলতে দেবেন। দলটাতো ওঁর।

প্রশ্ন: এই কথাগুলো যে আপনি বলছেন, এ জন্য কি আপনার উপরে চাপ তৈরি হবে? টলিউডে কি আপনি সমস্যায় পড়বেন?

রুদ্রনীল: না, আমার উপরে কেউ কোনও কালে চাপ তৈরি করেননি।

প্রশ্ন: তা হলে তৃণমূল না করলে টলিউডে কাজ পাওয়া যায় না— এই অভিযোগ ভিত্তিহীন?

রুদ্রনীল: কাজ না পাওয়ার সঙ্গে অভিনেতার রাজনীতির সম্পর্ক নেই। এটা প্রযোজক-পরিচালকের কাছে নিজের অভিনয় দক্ষতা প্রমাণের উপরে নির্ভর করে। মানুষের পছন্দের গুণমানে অভিনয় করলে ঠিক কাজ পাওয়া যায়। কৌশিক সেন তো শাসকের সমালোচক, তিনি তো দিব্যি কাজ করে চলেছেন।

প্রশ্ন: তা হলে অরূপ-স্বরূপের বিরুদ্ধে যাঁরা আঙুল তুলছেন, তাঁরা ঠিক বলছেন না?

রুদ্রনীল: আমি অন্যকে এত শক্তিশালী ভাবতে যাব কেন? কেউ নিজে যদি দুর্বল হন, তা হলেই অন্যকে খুব বেশি বলশালী বলে মনে হবে। আমি কাউকে অত বলশালী বলে মনে করি না।

অন্য বিষয়গুলি:

Rudranil Ghosh TMC TMC Martyr's Day Interview Tollywood
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy