আইএএম এক জন পড়ুয়ার সার্বিক বিকাশ ও সফট স্কিল বাড়ানোর দিকে বিশেষ নজর দেয়। সূত্র: আইএএম
অতিমারির প্রকোপে হসপিট্যালিটি পরিষেবার ক্ষেত্রটি বেশ কাবু। কিন্তু হাল ছেড়ে দেওয়ার সময় এখনই আসেনি। ঠিক যেমন ইন্ডাস্ট্রি নতুন দুনিয়ার চাল-চলন, নিয়মকানুনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, ঠিক তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান-- যা হসপিট্যালিটি এবং ট্যুরিজ়ম-এর ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে-- ১০০ শতাংশ কমর্সংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ব্যাপারেও সমান আত্মবিশ্বাসী।
ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্স ম্যানেজমেন্ট (আইএএম) পড়ুয়াদের কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে হোটেল, এভিয়েশন এবং রিটেল সেক্টরের ক্ষেত্রে নামজাদা প্রতিষ্ঠানগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। দ্য ওবেরয় গ্রুপ, আইটিসি সোনার, দ্য পার্ক, জে ডব্লিউ ম্যারিয়ট, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, এমিরেটস, লুফথানসা এবং রিলায়েন্স-এর মতো সংস্থা এই প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ-এর মাধ্যমে তাদের সংস্থায় নিয়োগ করেছে।
প্লেসমেন্ট পদ্ধতি শুরু হয় তৃতীয় বর্ষের গোড়ার দিকে এবং অর্ধেকের উপর ছাত্রছাত্রী দু-তিনটি চাকরির প্রস্তাব পেয়ে যায়।
স্নাতক ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন ধরনের কাজে নিযুক্ত হতে পারে-- ম্যানেজমেন্ট ট্রেনি থেকে শুরু করে অ্যাসোসিয়েট এবং সুপারভাইজারের কাজ পেতে পারে। তাদের বেতন সাধারণত ২.৫-৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক স্তরে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ২০২০ সালে এই প্রতিষ্ঠানের এক স্নাতক ভারতে একটি প্রতিষ্ঠানে ৪ লাখ টাকা বেতনে নিযুক্ত হয়েছে।
১৯৮৯ সালে শুরুর সময় থেকে আইএ এম যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তৈরি করেছে তাদের কোর্স এবং তার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতার পরিধি বাড়িয়েছে। শিক্ষাগত ও পেশাগত অভিজ্ঞতা, দুটো দিকে লক্ষ রেখেই এই প্রতিষ্ঠানে বহু ধরনের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম পড়ানো হয়।
এই প্রতিষ্ঠানের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের হসপিট্যালিটি সংস্থাগুলির সঙ্গে খুব ভাল যোগাযোগ থাকার জন্য ছাত্রছাত্রীরা আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, মালয়েশিয়া, থ্যাইল্যান্ড ও দুবাই-এর বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানে কাজ বা ট্রেনিংয়ের সুযোগ পায়। আইএএম-এর ডিরেক্টর, মৈত্রেয়ী চৌধুরী জানিয়েছেন, “হসপিট্যালিটি এমনই একটি পেশা যা পরিষেবা শিল্পের ভিত্তিপ্রস্তর। এই পেশায় থাকার ফলে তরুণ চাকুরেদের উন্নতি ও অভিজ্ঞতা অর্জন করার প্রচুর সুযোগ থাকে।”
এখানে ছাত্রছাত্রীদের খুব বড় করে ভাবতে শেখানো হয়। হসপিট্যালিটি এবং ট্যুরিজম-এর বিষয়ে কেবল মাত্র পুঁথিগত বিদ্যা নয়, এই প্রতিষ্ঠান এক জন পড়ুয়ার সার্বিক বিকাশ, ভাবনা আদান-প্রদান ও সফট স্কিল তৈরি করার দিকে বিশেষ নজর দেয়, যে সব গুণ কিনা এই সব পরিষেবার ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। কোর্সের অংশ হিসেবে প্রত্যেক পড়ুয়াকে ছয় মাসের একটি বাধ্যতামূলক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং করতে হয়। এই ট্রেনিং তাদের ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ-এর ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। ২০২১ সালের ব্যাচের প্লেসমেন্ট ইন্টারভিউ শুরু হবে ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy