বিপ্লব দেব ইস্তফা দেওয়ার পরেই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। পদত্যাগ করে কি শেষ পর্যন্ত বিজেপির সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলাবেন তিনি? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “দল চাইছে ২০২৩-এর নির্বাচনের আগে সংগঠনের শক্তি বাড়াতে। দীর্ঘ সময় সরকারে থাকার জন্য সংগঠনের শক্তি বাড়ানোর দরকার। সংগঠন থাকলে তবেই সরকার থাকবে।’’
ত্রিপুরার পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। ফাইল চিত্র
সংগঠনের কাজ করব। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েই বললেন বিপ্লব দেব। শনিবার আচমকাই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্যর কাছে ইস্তফা দিয়ে আসেন তিনি। ইস্তফা দেওয়ার পরে বিপ্লব বলেন “দল চাইছে ২০২৩-এর নির্বাচনের আগে সংগঠনের শক্তি বাড়াতে। দীর্ঘ সময় সরকারে থাকার জন্য সংগঠনের শক্তি বাড়ানোর দরকার। সংগঠন থাকলে তবেই সরকার থাকবে। তাই দল আমাকে সংগঠনের কাজে লাগাতে চাইছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘এত দিন প্রধানমন্ত্রীর মার্গ-দর্শনে আমি কাজ করে এসেছি। আমি ত্রিপুরায় ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছি। এ বার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ইচ্ছাতেই সংগঠনের কাজ করব।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিপ্লবকে দিল্লি ডেকে পাঠান বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেখানে গিয়ে প্রথমে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা ও পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সূত্রের খবর, এই দুই বৈঠকেই তাঁকে ইস্তফা দিয়ে দলের কাজ করার নির্দেশ দে্ন শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই ভোটের ১০ মাস আগেই পদত্যাগ করলেন বিপ্লব। জিম প্রশিক্ষক থেকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী-- বিপ্লবের রাজনৈতিক উত্থান অনেকটাই উল্কার গতিতে। ২০১৮ সালে তাঁর নেতৃত্বেই ত্রিপুরায় আড়াই দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটায় বিজেপি।
সাংগঠনিক কৃতিত্ব হিসেবে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে সেই সময় বিপ্লবকেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন মোদী-শাহরা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর কার্যকালে সন্তুষ্ট ছিলেন না বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁর সঙ্গে সঙ্ঘাতের জেরেই দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন সুদীপ রায় বর্মণ সহ বেশ কিছু বিধায়ক। তাই বিপ্লবের ইস্তফা আচমকা ঘটে যাওয়া কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়। এর আগে গুজরাট ও উত্তরাখণ্ডেও মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী বদল করেছে বিজেপি। এবং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওই পদত্যাগীদের। এ বার সেই পথের পথিক হতে পারেন বিপ্লব। তাঁর বক্তব্য থেকেই তেমন ইঙ্গিত মিলেছে বলে দাবি জাতীয় রাজনীতির কারবারিদের। কারণ, বিপ্লবের পদত্যাগের সময় ত্রিপুরায় হাজির ছিলেন বিজেপি সাংগঠনিক নেতা ভূপেন্দ্র যাদব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy