অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে বদল নিয়ে জল্পনার মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন অধীর চৌধুরী। বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ শুক্রবার নিজেকে প্রদেশ কংগ্রেসের ‘অস্থায়ী সভাপতি’ আখ্যা দিয়েছেন। লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর মৌলালি যুব কেন্দ্রে প্রদেশ কংগ্রেসের বর্ধিত বৈঠক বসেছিল শুক্রবার। সেই বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ সভাপতি পদে রদবদলের জল্পনা প্রসঙ্গে অধীর বলেন, “আমি প্রদেশ কংগ্রেসের অস্থায়ী সভাপতি। মল্লিকার্জুন খড়্গে যে দিন থেকে সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন, সে দিন থেকে তো ভারতবর্ষের আর কোনও রাজ্যে সভাপতি হয়নি। এ বার যখন করবেন, তখন আপনারা দেখতে পাবেন। আমি তো অস্থায়ী সভাপতি।”
কংগ্রেসের সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী সর্বভারতীয় সভাপতি বদল হলে তিনিই প্রদেশ সভাপতিদের নতুন করে নিয়োগ করেন। কিন্তু ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সে ভাবে কোনও রাজ্যে সভাপতি বদলের পথে হাঁটেনি কংগ্রেস। ২০২২ সালে কংগ্রেস সভাপতি হয়েছিলেন খড়্গে। উল্লেখ্য, অধীরের বদলে যে বাংলায় প্রদেশ সভাপতি পদে অন্য কেউ আসতে পারেন, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জিএ মির। তিনি বলেছেন, ‘‘সারা দেশেই সংগঠনে নতুন মুখ আসছে। তবে বাংলায় কাকে প্রদেশ সভাপতি করা হবে তা সবার সঙ্গে কথা বলেই ঠিক করা হবে।’’
প্রদেশ কংগ্রেসের বৈঠকে দু’টি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এক, রাহুল গান্ধী হোন লোকসভায় বিরোধী দলনেতা। এবং দুই, রাজ্যের সংগঠন, প্রয়োজনীয় রদবদলের বিষয়টি নিজে তত্ত্বাবধান করুন কংগ্রেস সভাপতি খড়্গে। দু’টি প্রস্তাবই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধীর। শুক্রবারের বৈঠকে হাজির ছিলেন বাংলার একমাত্র কংগ্রেস সাংসদ ইশা খান চৌধুরী। তাঁকে ঘিরে জেলা স্তরের নেতাদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, বাংলায় দলের ভবিষ্যতের পথচলা নিয়ে মূলত তিনটি অভিমত উঠে এসেছে বৈঠকে। অনেকে সিপিএমের সঙ্গে জোটের পক্ষে সওয়াল করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, জোট ছেড়ে একলা চলুক দল। তবে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ভাবে কয়েক জন নেতা এমনও বলেছেন যে, বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ‘ঠিক’ করার সময় এসে গিয়েছে। তাঁদের মতে, তৃণমূল যে এই মুহূর্তে বিজেপি-বিরোধী প্রধান শক্তি, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।
বহরমপুরের পাঁচ বারের সাংসদ অধীর এ বারে পরাস্ত হয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী তথা ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের কাছে। অধীরকে হারানোয় ইউসুফকে দলের বৈঠকে ‘জায়ান্ট কিলার’ আখ্যা দিয়েছেন স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের পর শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেসের প্রথম বৈঠক ছিল। বৈঠকের পর মৌলালি মোড়ে নিট এবং নেট দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র পরিষদ। সেখানে হাজির ছিলেন অধীরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy