E-Paper

হাব অ্যান্ড স্পোক, প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে আইআইএম-এ

দুর্গাপুজোর আগেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, এলাকার কোনও ভাল পরিকাঠামো যুক্ত স্কুল বা কলেজকে ‘হাব’ গড়ে তার অধীনে থাকবে অপেক্ষাকৃত কম পরিকাঠামো-যুক্ত স্থানীয় স্কুল।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:৩২
Share
Save

নিজের স্কুলের গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ না থেকে এলাকার ভাল স্কুল বা কলেজে গিয়ে সেখানকার পরিকাঠামোর সুবিধা নিতে পারবে পড়ুয়ারা। অথবা এলাকার কলেজের শিক্ষক স্কুলে এসে পড়িয়ে যাবেন। শিক্ষার সামগ্রিক মান উন্নয়নে এরকমই পরিকল্পনা করেছে শিক্ষা দফতর।

রাজ্য জাতীয় শিক্ষানীতিতে ‘হাব অ্যান্ড স্পোক’ নামে স্কুলের পড়াশোনার এই মান উন্নয়নের প্রশিক্ষণ ৮ এবং ৯ নভেম্বর জোকার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বা আইআইএম-এ হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষকদের এই প্রশিক্ষণ
নেওয়ার কথা।

দুর্গাপুজোর আগেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, এলাকার কোনও ভাল পরিকাঠামো যুক্ত স্কুল বা কলেজকে ‘হাব’ গড়ে তার অধীনে থাকবে অপেক্ষাকৃত কম পরিকাঠামো-যুক্ত স্থানীয় স্কুল। সেই স্কুলগুলোকে বলা হচ্ছে স্পোক। হাব স্কুল বা কলেজে গিয়ে স্পোক স্কুলের পড়ুয়ারা পড়াশোনা থেকে শুরু করে নানা পরিকা‌ঠামোর সুবিধা নেবে। এমনকি কলেজের শিক্ষকরাও স্পোক স্কুলে গিয়ে পড়িয়ে আসতে পারবেন। শিক্ষা দফতরের এক কর্তার কথায়, এর ফলে স্কুলের পরে কলেজে কেমন ভাবে পড়াশোনা হয় তার ধারণা তৈরি হবে স্কুল-পড়ুয়াদের।

শিক্ষকদের একাংশের প্রশ্ন, উদ্যোগ ভাল হলেও এই পরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদে কতটা কাজে লাগবে পড়ুয়াদের? স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারছে না এই সরকার। তার বদলে অন্য স্কুল-কলেজ থেকে শিক্ষকেরা এসে স্কুলে পড়ালে পড়ুয়ারা আদৌ কি উপকৃত হবে? অন্য স্কুল বা কলেজ শিক্ষকেরা কি ধারাবাহিকভাবে স্পোক স্কুলে ক্লাস নিতে পারবেন? প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টারস অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতির মতে, ‘‘শিক্ষক নিয়োগ না করে শুধুমাত্র হাব অ্যান্ড স্পোকের মাধ্যমে স্কুল শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়। কিছু সময়ের জন্য এই হাব অ্যান্ড স্পোক চলতে পারে। কিন্তু
দীর্ঘমেয়াদে এর ভবিষ্যত নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।’’

পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, ‘‘কোনও স্কুলে ভূগোলের শিক্ষক না থাকলে পাশের হাব স্কুল বা কলেজের শিক্ষকেরা এসে ভূগোল পড়িয়ে গেলে কি কোনও স্থায়ী সমাধান হবে? এটা একটা জোড়াতালি ব্যবস্থা।’’ নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখানো চাকরিপ্রার্থীদের মতে, জোড়াতালি না দিয়ে সোজাসুজি শিক্ষক নিয়োগ করলে স্কুলের পড়ুয়ারা অনেক বেশি উপকৃত হত।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

IMA West Bengal Education Bratya Basu

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।