তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে তাঁর সতর্কবার্তা অব্যাহত। ছাত্র সমাবেশের একদিন পরেই মঙ্গলবার ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে দলের হাওড়া জেলা কমিটির নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে হাজির ছিলেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটে কোনওভাবেই গোষ্ঠীকোন্দল বরদাস্ত করা হবে না। দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল বা গোঁজ প্রার্থী দাঁড় করিয়ে জিতে পরে তৃণমূলে যোগদানের কোনও সুযোগ এ বার অন্তত থাকবে না বলেই জানিয়েছেন অভিষেক।
প্রসঙ্গত, হাওড়া ও বালি পুরসভা এলাকা বাদ দিয়ে হাওড়া গ্রামীণ জেলা। মূলত সেই এলাকার বিধায়ক, সাংসদ, ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন অভিষেক। গত কয়েক মাসে হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় একাধিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছে বলে বৈঠকে নেতাদের সতর্ক করেছেন ডায়মন্ডহাবরারের সাংসদ। তাই আগামী দিনে তো বটেই, পঞ্চায়েত ভোটেও যাতে এই পারস্পরিক দ্বন্দ্বের প্রভাব না পড়ে, সেদিক জেলার বরিষ্ঠ নেতাদের নজর দিতে বলেছেন অভিষেক।
ঘটনাচক্রে, হাওড়া গ্রামীণ জেলাতেই ঘটেছিল আনিস খান হত্যাকাণ্ড। যদিও রাজ্য পুলিশ এই ঘটনাকে বার বার দুর্ঘটনা বলে এসেছে। কিন্তু আনিসের পরিবার-সহ কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, আইএসএফ ও বিজেপি এই ঘটনায় পুলিশে বিরুদ্ধেই হত্যার অভিযোগ এনেছে। এমনকি, আনিসের বাড়িতে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে রাস্তা থেকেই ফিরে আসতে হয়েছিল কলকাতার মেয়র তথা রাজ্য সরকারের অন্যতম সংখ্যালঘু মুখ ফিরহাদ হাকিমকে। তাই সেদিক থেকে হাওড়া গ্রামীণ এলাকার সংখ্যালঘু ভোটও শাসকদলের কাছে চিন্তার বিষয়। তাই সেই বিষয়টি দেখতে হাওড়া গ্রামীণ জেলার এক বরিষ্ঠ মন্ত্রীকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন অভিষেক। পাশাপাশি, ওই জেলার সভাপতি অরুণাভ সেনকেও বাড়তি দায়িত্ব নিতে বলেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy