হাওড়া ময়দানে মেট্রো পরিষেবা শুরুর আগেই সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা রয়েছে পুরসভার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
মেট্রো পরিষেবা শুরুর আগেই হাওড়া ময়দানকে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হতে চলেছে। প্রায় দেড় হাজার বর্গ মিটার এলাকা ঘিরে থাকবে সবুজ, আলো-শব্দের ঝর্না, মুক্তমঞ্চ, বাইসাইকেল ট্র্যাক।
হাওড়া ময়দানে শরৎ সদন হওয়ার সময় থেকেই সবুজের ঘাটতি হয়েছে। শরৎ সদনের ভিতরে একটি বাগান রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মৃতপ্রায়। এরই মধ্যে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রান্তিক হাওড়া ময়দান স্টেশন এ বছরেই খুলে যাওয়ারসম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাই হাওড়া জেলা প্রশাসন ও হাওড়া পুরসভা যৌথ ভাবে ময়দান এলাকার সৌর্ন্দযায়নের চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। হাওড়া ময়দানের উত্তর থেকে দক্ষিণের বাঁ দিকে, অর্থাৎ, বর্তমানে যে জায়গায় বেআইনি বাসস্ট্যান্ড রয়েছে, সেখানের ১৫০০ বর্গমিটার ট্র্যাফিক-মুক্ত এলাকায় পার্ক তৈরি হতে চলেছে।
কেমন হবে ওই পার্ক? বাসস্ট্যান্ডই বা সরানো হবে কোথায়? হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, ময়দানের যে প্রান্তে ‘আই লাভ হাওড়া’ আইল্যান্ড রয়েছে, সেখানে থেকে মেট্রোর ১ নম্বর গেট পর্যন্ত রাস্তার একপাশ ও শরৎ সদনের এক পাশ জুড়ে পার্ক তৈরি হবে। যেখানে থাকবে আলো-শব্দের ৪-৫টি ঝর্না, বসার জায়গা। পার্কের চারদিকে থাকবে ঝুলন্ত বাগান, বাইসাইকেল ট্র্যাক। শরৎ সদনের দিকে হবে মুক্তমঞ্চ। থাকবে এলইডি-র বড় স্ক্রিন। কিছু খাবারের স্টল।
পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পুরসভা নিজের টাকায় এই কাজ করছে। ওই জায়গার সৌন্দর্যায়ন পুজোর আগেই শেষ করে সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে। প্রশ্ন উঠছে, বাসস্ট্যান্ড বা জিটি রোডের দিক থেকে হকার না সরালে মেট্রোর স্টেশন থেকে বেরিয়ে লোক যাবেন কোথা দিয়ে? হাওড়া পুরসভার চেয়ারম্যন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, হাওড়া ময়দান থেকে সমস্ত বাসের স্ট্যান্ড সিইএসসি অফিসের পাশে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই সঙ্গে গাড়ি রাখার জন্য বহুতল পার্কিং-এর ব্যবস্থা করা যায় কি না, কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তা-ও দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy