ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছতা অভিযানে পিছিয়ে থাকেনি পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্ব রেল। কিন্তু সমীক্ষা জানাচ্ছে, কার্যক্ষেত্রে স্বচ্ছতার বিচারে ওই দুই রেলের হাওড়া, শিয়ালদহ, খড়্গপুর এবং কলকাতা স্টেশন তালিকার অনেক পিছনে। হাওড়ার ঠাঁই হয়েছে ৫৬ নম্বরে। শিয়ালদহ ৬৭। খড়্গপুর ৫১। কলকাতা স্টেশন ৯৩।
পরিচ্ছন্নতা-সমীক্ষায় রাজ্যের মুখ রক্ষা করেছে মাত্র দু’টি স্টেশন। নিউ কোচবিহার (৩২) আর নিউ জলপাইগুড়ি (৩৮)।
গোটা দেশের ‘এ ক্যাটিগরি’ স্টেশনগুলির পরিচ্ছন্নতার হাল কী, তা জানতে রেলের তরফে সম্প্রতি বাইরের একটি সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি যাত্রীদের প্রতিক্রিয়ার উপরেও নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল সমীক্ষায়। বুধবার নয়াদিল্লির রেল ভবনে রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু সেই সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেন। রেলমন্ত্রী জানান, গত বছরের তুলনায় অনেক স্টেশনে কিছুটা হলেও পরিচ্ছন্নতা বেড়েছে। অনেক মানুষ বা সংস্থা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে কিছু স্টেশন সাজিয়ে দিয়েছেন। এতেই বোঝা যায়, পরিচ্ছন্নতা চান সকলেই।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের মানচিত্র দিতে হবে দু’মাসেই
যে-দু’টি স্টেশন এ রাজ্যের মুখ রক্ষা করেছে, সেগুলি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের। পরিচ্ছন্নতার সমীক্ষায় জোন হিসেবে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অবস্থান যথাক্রমে একাদশ ও দ্বাদশ স্থানে। তাদের অধীন হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা বা খড়্গপুর কেউই পঞ্চাশের মধ্যে জায়গা পায়নি। শালিমার তো ২০০ নম্বরের মধ্যেই নেই। অবস্থান ছত্তীসগড়ে হলেও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের টাটানগর স্টেশনের স্থান হয়েছে ৫৮ নম্বরে।
স্বচ্ছ ভারত মিশন উপলক্ষে গত বছর পরিচ্ছন্নতার সমীক্ষা শুরু করে রেল মন্ত্রক। গত বছরও সমীক্ষায় এ রাজ্যের স্টেশনগুলি প্রাপ্ত নম্বরের তালিকায় অনেক নীচে ছিল। তবে এ বছর অনেকটাই উন্নতি হয়েছে বলে মনে করেন রেলকর্তারা। দুই জোনের রেলকর্তারা জানান, হাওড়া, শিয়ালদহ, খড়্গপুরের মতো স্টেশনে যে-হারে যাত্রী-সমাগম হয়, তাতে পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা খুবই কঠিন। ট্রেন এত বেশি যে, প্ল্যাটফর্ম কার্যত ফাঁকাই থাকে না। তিনটি স্টেশনেই পরিকাঠামো বাড়ানো হচ্ছে। সব কাজ শেষ হয়ে গেলে এই স্টেশনগুলিও অনেক উপরে উঠে আসবে।
এ বারের সমীক্ষায় প্রথম হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম আর পঞ্জাবের বিয়াস। দ্বিতীয় তেলঙ্গানার সেকেন্দরাবাদ ও খাম্মাম। তৃতীয় স্থানে আছে জম্মু-কাশ্মীরের জম্মু-তাওয়াই এবং মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর স্টেশন। ১৬টি জোনের (মেট্রো ছাড়া) মধ্যে প্রথম হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব-মধ্য রেল জোন। এই জোনে ছ’টি ‘এ ক্যাটিগরি’ স্টেশন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পূর্ব উপকূল রেল জোন। এই জোনের রয়েছে ১৩টি ‘এ ক্যাটিগরি’ স্টেশন। তৃতীয় মধ্য রেল। ৩৪টি ‘এ ক্যাটিগরি’ স্টেশন আছে তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy