গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিষ্ঠানিক স্বশক্তিকরণ (আইএসজিপি) প্রকল্পের অধীন হাওড়া জেলার সব ক’টি পঞ্চায়েতই ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে টাকা পাওয়ার জন্য বিবেচিত হল।
জেলায় ১৪টি ব্লকের মোট ৯৩টি পঞ্চায়েতে ওই প্রকল্পে কংক্রিটের রাস্তা-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। এ জন্য অনুদান এবং পঞ্চায়েতের নিয়মিত হিসাব রাখা, প্রশাসনিক কাজকর্মের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রভৃতির জন্য প্রশিক্ষণও দিচ্ছে বিশ্বব্যাঙ্ক। টাকা পেতে হলে শুধুমাত্র প্রকল্পের অধীনে থাকলেই হয় না, বিশ্বব্যাঙ্ক নির্ধারিত যোগ্যতামানও পার করতে হয় পঞ্চায়েতগুলিকে। তার ভিত্তিতে বিশ্বব্যাঙ্ক ঠিক করে কোন কোন গ্রাম পঞ্চায়েতকে টাকা দেওয়া হবে।
রাজ্য পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতগুলিকে পরিকল্পনা এবং বাজেট রচনা, প্রকল্পের বাস্তবায়ন, অডিট রিপোর্টে স্বচ্ছতা এবং প্রকল্পের কাজে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ করানো এই চারটি বিষয়ে এক-একটি পঞ্চায়েত কতটা কাজ করেছে সে বিষয়ে বিশ্বব্যাঙ্ক বাইরের সংস্থাকে দিয়ে পরীক্ষা করায়। পঞ্চায়েত প্রধানদের সেই পরীক্ষায় বসতে হয়। হাওড়ার প্রতিটি পঞ্চায়েতই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তাই ৯৩টি পঞ্চায়েতই টাকা পাওয়ার অধিকারী হয়েছে।
তবে, প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে অর্থ সাহায্য দেওয়া হয় জনসংখ্যার ভিত্তিতে। যে সব গ্রাম পঞ্চায়েতের জনসংখ্যা কম তারা তুলনামূলক ভাবে কম টাকা পেয়ে থাকে। ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরের জন্য হাওড়া জেলাকে দেওয়া হয়েছে মোট ১৮ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে ৩২ লক্ষ টাকা পাবে এমন বড় গ্রাম পঞ্চায়েত যেমন রয়েছে, আবার ১২ লক্ষ টাকা পাবে এমন গ্রাম পঞ্চায়েতও আছে।
২০১০ সাল থেকে হাওড়ার ৯৩টি-সহ রাজ্যের ৯টি জেলার ১০০০ নির্বাচিত পঞ্চায়েতে চলছে আইএসজিপি প্রকল্পের কাজ। বছরে অন্তত ২০০ কোটি টাকা করে খরচ করা হচ্ছে পঞ্চায়েতগুলিতে। এ বছর মোট ৯৮৪টি পঞ্চায়েত নির্ধারিত যোগ্যতামান পার করে ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরের জন্য টাকা পাওয়ার অধিকারী হয়েছে।
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক পদস্থ কর্তা জানান, প্রতি বছরই পঞ্চায়েতগুলিকে পরীক্ষা দিতে হয়। কিন্তু এর আগে এত বেশি সংখ্যক পঞ্চায়েত কোনওবারেই যোগ্যতামান পার করতে পারেনি। তাদের মধ্যে আবার হাওড়া এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে আইএসজিপি প্রকল্পের অধীন প্রতিটি পঞ্চায়েতই টাকা পাওয়ার অধিকারী হয়েছে। বাঁকুড়ার ১১৩টির মধ্যে ১১২টি, বীরভূমের ৯৯টির মধ্যে ৯৩টি, বর্ধমানের ১৬৫র মধ্যে ১৬৩টি, কোচবিহারের ৭৬টির মধ্যে ৭৫টি পঞ্চায়েত টাকা পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে।
মাস দুই আগে বিশ্বব্যাঙ্কের কর্তারা হাওড়ার মহেশপুর পঞ্চায়েতে যান। এই পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখে তাঁরা প্রকাশ্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন। কেরল এবং বিহারেও বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় আইএসজিপি প্রকল্পে কাজ চলছে। এই রাজ্যে যে তুলনামূলক ভাবে ওই দু’টি রাজ্যের থেকে বেশ ভাল কাজ হচ্ছে সে কথাও সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বব্যাঙ্কের কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy