প্রতীকী ছবি।
নিজের অজান্তে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গেল হিন্দমোটরের এক যুবকের। মঙ্গলবার গভীর রাতে বেজিংয়ে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চলে গিয়েছে বলে কিংশুক কর নামে ওই যুবকের অভিযোগ। টাকা ফেরত পেতে তিনি উত্তরপাড়া থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে অন্ধকারেই।
কিংশুক থাকেন হিন্দমোটরের উদয়ন পল্লিতে। তিনি সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের একটি বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। তাঁর বেতন অ্যাকাউন্ট (স্যালারি অ্যাকাউন্ট) রয়েছে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের পুণের শাখায়। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টা নাগাদ ব্যাঙ্কের তরফে তাঁর মোবাইলে ফোন আসে। তাতে জানানো হয়, ওই অ্যাকাউন্ট থেকে আন্তর্জাতিক ‘লেনদেন’ হচ্ছে। তিনি ওই ‘লেনদেন’ করছেন কিনা। কিংশুক জানান, তিনি ঘুমোচ্ছিলেন। তিনি কোনও লেনদেন করছিলেন না।
কিংশুকের কথায়, ‘‘প্রথমে ভেবেছিলাম ভুয়ো ফোন। যিনি ফোন করেছিলেন, তাঁর পরামর্শে ব্যাঙ্কের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করি। সেখান থেকেও একই বিষয় জানানো হয়। তৎক্ষণাৎ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিই। ততক্ষণে বেজিং থেকে ৪০ হাজার টাকার বেশি তোলা হয়ে গিয়েছে।’’
বুধবার সকালে কিংশুক উত্তরপাড়া থানায় যান এফআইআর করতে। পুলিশ এফআইআর নেয়নি। জেনারেল ডায়েরি (জিডি) নেওয়া হয়। থানা সূত্রের বক্তব্য, বিষয়টি চন্দননগর কমিশনারেটের সাইবার সেলে পাঠানো হয়েছে। ওই বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে। অভিযোগকারীর ব্যাঙ্কের পাশবইয়ের বিস্তারিত তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। সাইবার সেলের আধিকারিকরা জানান, ব্যাঙ্কের পাশবইয়ের বিস্তারিত তথ্য ঘেঁটে বোঝা যাবে, ঠিক কী ভাবে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতানো হয়েছে। সেইমতো তদন্ত এগোবে। জালিয়াতদের চিহ্নিত করা এবং গায়েব হওয়া টাকা ফেরানোর চেষ্টা করা হবে।
এ দিন কিংশুক বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কে গচ্ছিত টাকাও যদি নিরাপদে না থাকে, তা হলে তো মুশকিল। পুলিশ গোটা বিষয়টি ভাল করে তদন্ত করে কিনারা করুক। কিন্তু পুলিশের তরফে এখনও খুব একটা সহযোগিতা পাইনি। প্রয়োজনে কমিশনারেটের সাইবার সেলে যাব। মোবাইলে এসএমএস-এ টাকা ওঠার তথ্য রয়েছে। সেই তথ্য পুলিশকে দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy