Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

স্কুলে নিভৃতবাস কেন্দ্র, মিল বিলি নিয়ে চিন্তা

বৃহস্পতিবার রাতেই জেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন অবর স্কুল পরিদর্শকের কাছে নির্দেশ পাঠিয়ে কত স্কুলে নিভৃতবাস কেন্দ্র করা হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নুরুল আবসার ও পীযূষ নন্দী
উলুবেড়িয়া ও আরামবাগ শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২০ ০৬:০০
Share: Save:

দুই জেলাতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখা হচ্ছে স্কুলে। তাই আগামী ১ জুন থেকে স্কুল পড়ুয়াদের তৃতীয় দফার মিড ডে মিলের চাল ও আলু বিলির জন্য স্কুলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হলেও তা কীভাবে কার্যকর করা হবে তা নিয়ে দুই জেলাতেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

হাওড়া জেলায় আগামী ১ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের হাতে চাল ও আলু তুলে দেওয়ার কথা। শুক্রবার দুপুরে জেলার বিভিন্ন ব্লকে অবর স্কুল পরিদর্শক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষগুলির মধ্যে বৈঠক হলেও কোন‌ও সর্বজনগ্রাহ্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর।

বৃহস্পতিবার রাতেই জেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন অবর স্কুল পরিদর্শকের কাছে নির্দেশ পাঠিয়ে কত স্কুলে নিভৃতবাস কেন্দ্র করা হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়। শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট চাওয়া হলেও এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তা হাতে আসেনি বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর।

হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক জেলায় আসতে শুরু করায় বহু স্কুলকে আগে থেকেই সরকারি নিভৃতবাস কেন্দ্র করা হয়েছে। এর উপরে দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা। আরও যাঁরা ফিরছেন, তাঁদের অনেকের মধ্যে কোনও উপসর্গ না থাকায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে গৃহ নিভৃতবাসে থাকার জন্য নিদান দেওয়া হলেও গ্রামে ফেরার পরে তাঁদের মধ্যে অনেকে প্রতিবেশীদের থেকে বাধা পাচ্ছেন। তখন গ্রামবাসী এবং পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জোর করে বিভিন্ন স্কুলকে নিভৃতবাস কেন্দ্র করে সেখানে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের রেখে দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে হাওড়া জেলা শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, যেহেতু নিভৃতবাস কেন্দ্রের সংখ্যা প্রতি মুহূর্তে বেড়ে যাচ্ছে তাই কোনও ব্লক থেকেই এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার বিভিন্ন জেলা ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, যে সব স্কুলে নিভৃতবাস কেন্দ্র করা হয়েছে সেই সব স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে মিড ডে মিলের চাল এবং আলু পৌঁছে দিতে হবে। বাগনানের একটি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, তাঁর স্কুলে নিভৃতবাস কেন্দ্র করা হয়েছে। সেখানে ৬৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক আছেন। সে কথা অবর স্কুল পরিদর্শককে জানানোর পরে তিনি নির্দেশ দেন ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে চাল ও আলু।

ওই প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, ‘‘আমার স্কুলের সাড়ে ছয়শো পড়ুয়া মিড ডে মিল পায়। তারা দূর থেকে আসে। তাদের বাড়ি খুঁজে মিড মিলের চাল ও আলু পৌঁছে দেওয়া সম্ভব? আমি অবর স্কুল পরিদর্শককে জানিয়েছি, এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’’

জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা জানান, এই রকম সমস্যা বহু স্কুলে আছে। সেক্ষেত্রে পাশের কোনও বাড়ি বা সরকারি ভবন থেকে চাল ও ডাল বিলি করা যেতে পারে।

একইসঙ্গে তিনি জানান, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে মিড ডে মিল পৌঁছে দিতেই হবে। এটাই সরকারের নির্দেশ।

হুগলি জেলায় জুন মাসের মিড ডে মিল দিন ধার্য হয়েছে ৮ জুন থেকে ১৩ জুন। তবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেখানে স্কুল ফাঁকা আছে সেখানে স্কুল থেকেই দেওয়া হবে। যে সব পঞ্চায়েত এলাকার অধিকাংশ স্কুলে নিভৃতবাস কেন্দ্র হয়েছে, সেক্ষেত্রে কাছাকাছি বড় খালি থাকা স্কুল ঠিক করে মিড ডে মিল দেওয়া হবে। তাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। হুগলি মাধ্যমিক শিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত জেলা পরিদর্শক (আরামবাগ) চন্দ্রশেখর জাউলিয়া বলেন, ‘‘যে কোনও ভাবেই হোক জুন মাসের ৮ তারিখ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে মিড ডে মিল বিতরণ হবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy