Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

বেতন অমিল, ভাঙচুর বিএসএনএল অফিসে

জেলায় উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, চন্দননগর, চুঁচুড়ার মতো বিএসএনএল-এর এরিয়া অফিসগুলিতে বহু ঠিকা শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের উপরই এখন যে কোনও টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মূল কাজ নির্ভর করে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৪১
Share: Save:

টানা আট মাস তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। সেই ক্ষোভে শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীরামপুরে বিএসএনএলের এরিয়া অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল সেখানকার ঠিকা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও হয়ে থাকেন সেখানকার দুই কর্তা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনায় আতঙ্কিত বিএসএনএলের স্থায়ী কর্মীরা। তাঁরা পুরো বিষয়টি বিভাগীয় পদস্থ কর্তাদের জানিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তুলছেন।

বিএসএনএলের শ্রীরামপুর এরিয়া অফিসের এক কর্তা বলেন, ‘‘পুরো পরিস্থিতি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সাধারণ কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার বিষয়টিও জানানো হয়েছে। ওঁরা বেতন না-পেয়ে কষ্টে আছেন। তাই সম্ভবত উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন।’’ ওই অফিসের এক স্থায়ী কর্মী বলেন, ‘‘শুধু ঠিকা-কর্মী কেন? চলতি মাসে আমাদের বেতন মিলেছে ১৯ তারিখে। ঠিকা-কর্মীরা বেতন না-পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। কিন্তু ওঁদের বেতন না-পাওয়ার জন্য তো আমরা দায়ী নই।’’

জেলায় উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, চন্দননগর, চুঁচুড়ার মতো বিএসএনএল-এর এরিয়া অফিসগুলিতে বহু ঠিকা শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের উপরই এখন যে কোনও টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মূল কাজ নির্ভর করে। কিন্তু বেতন না-পেয়ে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন না। তার জেরে জেলার প্রতিটি এক্সচেঞ্জে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পরিষেবাও ভেঙে পড়ার মুখে।

শ্রীরামপুরের ওই অফিসের এক ঠিকা-কর্মীর ক্ষোভ, ‘‘আমরা একটা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। আট মাসের বেতন পাচ্ছি না। সংসার, বাচ্চাদের পড়াশোনা, চিকিৎসার খরচ কী করে চালাব? সরকারের কোনও হুঁশই নেই?’’

অন্য বিষয়গুলি:

Vandalism BSNL Wage
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy