বৈদ্যবাটী চৌমাথা মোড়ে জিটি রোড অবরোধ ও কুশপুতুল দাহ বন্ধ সমর্থকদের। নিজস্ব চিত্র।
ফের নিজেদের কর্মসংস্কৃতির পরিচয় দিলেন চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিলের শ্রমিকেরা।
কিছুদিন আগে সাধারণ ধর্মঘটে তাঁরা কাজ করেছিলেন। মঙ্গলবারও আন্দোলনরত কৃষকদের বন্ধকে সমর্থন জানিয়েও কাজ করলেন তাঁরা। তিনটি শিফ্টে মোট ২৬০০ শ্রমিক এলেন। চটের বস্তার ভাল বরাত থাকায় শ্রমিকদের এই মনোভাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মিল কর্তৃপক্ষ।
মিলকর্তা শম্ভু পাল বলেন, ‘‘পর পর দু’টি বন্ধের ক্ষেত্রেই দেখলাম, মিলের কাজে কোনও প্রভাব পড়েনি। শ্রমিকদের এই মানসিকতা খুব ভাল। এখন টানা উৎপাদন জরুরি। আমরা মিলকে ফের পূর্ণ উৎপাদনের ক্ষমতায় ফেরাতে চাইছি। এ দিন মিলে তিনটি শিফ্টের একটিতে ১০০০ এবং বাকি দু’টিতে ৮০০ করে শ্রমিক কাজ করেছেন। এখন ভাল বরাত রয়েছে। বন্ধেও উৎপাদন পুরোপুরি চালু রাখা গেল।’’
আড়াই বছর ধরে আর্থিক মন্দার কারণ দেখিয়ে গোন্দলপাড়া জুটমিল বন্ধ রেখেছিলেন কর্তৃপক্ষ। মাস দুয়েক আগে মিল খোলে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে চটের বস্তার বাড়তি বরাত দেয়। ফলে, গোন্দলপাড়া মিল কর্তৃপক্ষও ভাল পরিমাণ বরাত পান। এই পরিস্থিতিতে ফের কাজ বন্ধের রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন না মিলের বেশিরভাগ শ্রমিকই।
কারণ, তাতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
জুটমিল সূত্রের খবর, বর্তমানে ৭০ শতাংশ উৎপাদন হচ্ছে। এখনও মিলের যা পরিস্থিতি, তাতে পূর্ণমাত্রায় উৎপাদন সম্ভব নয়। মিলটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বহু যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
মিলের পুরনো কর্মী রাজেশ জয়সোয়ারা বলেন, ‘‘পর পর দু’টি বন্ধ হল। আমরা দু’টি বন্ধকেই সমর্থন করেছি। কিন্তু একইসঙ্গে চেয়েছি, এই জুটমিলে যাতে তার কোনও প্রভাব না পড়ে। সেই কারণেই আমরা কাজ চালু রেখেছি। মিল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এই অঞ্চলের মানুষের আর্থিক স্থিতি একেবাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা চাইছি, মিলে উৎপাদন যেন চালু থাকে। তাই মিলের কাজে কোনও ধরনের বাধা আমরা চাইছি না। তাই বন্ধ সমর্থন করেও কাজে যোগ দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy