সম্মান: শংসাপত্র হাতে উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব। নিজস্ব চিত্র
পুর এলাকার বর্জ্য সংগ্রহ করে তা থেকে তৈরি হয় সার। সেই সার আবার বিক্রি করা হয় বিভিন্ন সংস্থাকে। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষা হয়, তেমনই আর্থিক লাভ হয় পুরসভার। এই প্রকল্পের জন্যই মডেল সিটির তকমা পেল উত্তরপাড়া। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি(জাইকা)-র তরফে বুধবার এক অনুষ্ঠানে শহরকে মডেল সিটি ঘোষণা করা হয়। সংস্থার চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল উত্তরপাড়ায় এসে সম্বর্ধনা দেন পুরপ্রধান দিলীপ যাদবকে। শহরবাসী এবং কাউন্সিলদের প্রশংসা শোনা যায় তাঁদের মুখে।
ঠিক কী ভাবে চলে এই কাজ? পুরসভা সূত্রে খবর, পুরকর্মীরা প্রতিদিন প্রতিটি বাড়ি থেকে কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ করেন। তারপর সেই বর্জ্য থেকে পচন ও অপচনশীল বর্জ্যকে প্রযুক্তির সাহায্যে আলাদা করা হয়। তারপর পচনশীল বর্জ্য থেকে তৈরি হয় সার। পুরসভার তৈরি এই সারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বসুধা’। বাণিজ্যিকভাবে এই সার বিক্রি করা হয় বিভিন্ন সংস্থাকে। এক পুর কর্মী জানান, বহু সংস্থাই সেই সার তাঁদের নিজস্ব মোড়কে বাজারে বিক্রিও করছেন। পুরসভার এই প্রকল্পের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত আছেন কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘শুরুতে এ ব্যাপারে অনেকেরই ধারণা ছিল না। তখন কেউ ভাবেইনি যে জঞ্জাল থেকে তৈরি সার বিক্রিও হবে।’’
এ দিন জাইকার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগেও যখন মাখলার প্রকল্পের জন্য এখানে আসতাম, শহর আবর্জনায় ভর্তি ছিল। শহরবাসীর ইচ্ছা এবং পুর কর্তৃপক্ষের লাগাতার চেষ্টাতেই এই প্রকল্প সম্ভব হয়েছে।’’ পুরপ্রধান বলেন, ‘‘রাজ্যের মধ্যে আমাদের শহরই প্রথম এই শিরোপা পেল। এই শিরোপা দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল। আমাদের লোকবল কম। প্রযুক্তিগত খামতিও রয়েছে। তাও শহরকে সুন্দর রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্লাস্টিককে পুরোপুরি নির্মূল করতেই হবে। শহরকে সুন্দর করতে আমরা এলাকা জুড়ে সচেতনতা শিবির, নাটক, সেমিনার করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy