মাতৃযান পাওয়ার অপেক্ষায়। —নিজস্ব চিত্র
ঘটা করে শুরু হয়েছিল ‘মাতৃযান’ পরিষেবা। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, ১০২ ডায়াল করলেই দ্রুত আসবে অ্যাম্বুল্যান্স। কিন্তু সেই পরিষেবা যথাযথ না-মেলার অভিযোগ তুলে শুক্রবার পুরশুড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন প্রসূতিদের আত্মীয়স্বজনেরা।
এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ পুরশুড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার পরে ছুটি পান টুম্পা খাতুন, শ্যামলী জানা, মান্তু মণ্ডল এবং মধুশ্রী মৈত্র নামে চার প্রসূতি। তাঁদের অভিযোগ, দুপুর ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষার পরেও ‘মাতৃযান’ মেলেনি। এর পরেই বিক্ষোভ দেখান তাঁদের বাড়ির লোকজন। ওই চার প্রসূতি ও তাঁদের আত্মীয়দের অভিযোগ, “১০২ নম্বরে ডায়াল করলে চটজলদি আ্যাম্বুল্যান্স পাওয়ার কথা। কিন্তু অধিকাংশ সময় ফোনে সাড়া মেলে না। আবার আধ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাবে বলে জানানো হলেও অ্যাম্বুল্যান্স আসতে প্রায় আড়াই-তিন ঘণ্টা সময় লাগে। উপায় না-থাকায় গাড়ি ভাড়া করতে হয়।”
বিক্ষোভের খবর পেয়ে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল থেকে মাতৃযান পাঠান পুরশুড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তারপর একে একে বাড়ি পাঠানো হয় চার প্রসূতিকে। আশাকর্মীদের একাংশের দাবি, “পুরশুড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাতৃযানটি কয়েকদিন ধরে বিকল হয়ে রয়েছে। বিকল্প গাড়ির ব্যবস্থা হয়নি। প্রসূতি এবং অসুস্থ শিশুদের হাসপাতালে আনতে এবং ছুটির পরে বাড়ি পৌঁছে দিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।”
পুরশুড়া ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত বাগ বলেন, “দিন চারেক আগে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাতৃযানটি খারাপ হয়ে গিয়েছে। অন্য জায়গা থেকে অ্যাম্বুল্যান্স এনে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এ দিন মাতৃযান পৌঁছতে বিলম্ব হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমাদের অ্যম্বুল্যান্সটি অবিলম্বে সারানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে বলা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে বলে আশ্বাস মিলেছে।” জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, “১০২ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি। পেলে খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy