প্রতীকী ছবি।
গত মাসে আরামবাগের হরিণখোলায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) –র প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা এবং পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে এক মিম (মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন) নেতা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে আরামবাগের কালীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সফিউল্লাহ খান নামে ওই নেতা এবং আর এক অভিযুক্ত তৌসিফ আহমেদ খানকে ধরা হয়।
সফিউল্লাহের বাড়ি গোঘাটের রামানন্দপুর। বাড়ি থেকে গাড়িতে কলকাতা যাওয়ার পথে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে ধরে। তৌসিফ আরামবাগে থাকেন। ধৃতদের শুক্রবার আরামবাগ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক সফিউল্লাহকে দু’দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তৌসিফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়। সফিউল্লাহের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর আইনজীবী অরূপ হাজরা বলেন, “হরিণখোলার ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যোগ নেই আমার মক্কেলের। পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।’’ এসডিপিও (আরামবাগ) নির্মলকুমার দাস বলেন, “বিশৃঙ্খলার ঘটনায় নিশ্চিত ভাবে চিহ্নিত করার পরই গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে, বাকিদেরও ধরা হবে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর হরিণখোলায় ওই প্রতিবাদের সময় রাজ্য সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করা হয়। ঘন্টাখানেকের অবরোধের জেরে দক্ষিণবঙ্গের অনেকগুলি জেলার সঙ্গে কলকাতা এবং তারকেশ্বরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। পুলিশ রাস্তাটির গুরুত্ব বুঝিয়ে অবরোধ তুলতে যায়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে এবং এসডিপিও (আরামবাগ)-সহ কয়েকজন পুলিশকর্মীকে হেনস্থা করে বলেও অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধেও পাল্টা লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করে। বিক্ষোভকারীরাও হামলার কথা স্বীকার করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy