পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি ও আব্বাস সিদ্দিকি। —নিজস্ব চিত্র।
ফুরফুরার পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি রাজনৈতিক দল গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সেখানকার আর এক পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি ওই উদ্যোগকে ফের কটাক্ষ করলেন। তার জেরে দু’জনের মধ্যে ‘বাগ্যুদ্ধ’ আরও বাড়ল।
বুধবার ত্বহার প্রশ্ন, ‘‘কোনও ধর্মগুরুর আদৌ রাজনৈতিক দল গড়া উচিত? রাজনীতি অনেকটা খেলার মাঠের মতো। সেখানে সরাসরি বিরোধিতা হবেই। মাঠে খেলতে নেমে আমি তো কাউকে বলতে পারি না আমাকে ফাউল কোরো না। ফুটবল খেলায় পা-চালাচালি হবেই। বিপক্ষ আমাকে মারতেই পারে। তখন কিন্তু ফুরফুরা শরিফকে সামনে রেখে আড়াল খোঁজা ঠিক নয়। একদিকে আমি ধর্মগুরু, আবার আমি রাজনীতি করি, এটা কিন্তু ঠিক নয়।’’
ছেড়ে কথা বলছেন না আব্বাসও। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘একজন ধর্মগুরুই পারেন মানুষকে, সমাজকে সঠিক দিশা দেখাতে। তা হলে রাজনীতি করতে সমস্যা কোথায়? মুসলিম ভোট নিয়ে এতদিন খেলা চলেছে। তাই এ বার যে যার নিজের ঘর সামাল দাও। গত ৭৩ বছরে অনেকেই এসেছেন আমাদের কাছে দোয়া চাইতে। ফিরে গিয়ে তাঁরা কেউ মনে রাখেননি গরিব মানুষকে। তাঁরা সাম্প্রদায়িক তাস খেলেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরি, উন্নয়ন থেকে বঞ্চিতই হয়েছেন সাধারণ মুসলমানরা। তাই আর দেরি নয়, আমরা মহাজোটের ডাক দিয়েছি।’’
ডিসেম্বরেই তিনি দল ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকি। ইতিমধ্যেই সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূলের লোকজনের সঙ্গেও তাঁদের কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘‘দল হবে ধর্ম নিরপেক্ষ। মানবসেবাই আমাদের লক্ষ্য।’’
পোড়খাওয়া রাজনীতিকের ঢঙে ত্বহা সিদ্দিকি মনে করিয়ে দেন, ‘‘ভিড় দেখে ভুলবেন না। বাজারে সাপের খেলা দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন। কিন্তু সাপুড়ে ঝুলি থেকে বিক্রির জন্য তাবিজ বের করলেই ভিড় পাতলা হয়। আমি সারা রাজ্যে ঘুরছি। তাই দেখে বলতে পারি, বাংলায় সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মানুষ ভোট দেবে না। রাজ্যে ফের তৃণমূল সরকারই ক্ষমতায় আসবে।’’
ফুরফরার এক পিরজাদার গলায় যখন রাজ্যের শাসকদলের উপর ভরসা, তখন কিন্তু আব্বাস সিদ্দিকির গলায় রাজ্য সরকারের নানা ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার সুরও শোনা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy