জটিলতা: থমকে রয়েছে নির্মাণ। নিজস্ব চিত্র
নিম্মমানের ইমারতি দ্রব্যে কাজ হচ্ছে, এই অভিযোগে ব্লকের বেশ কয়েকটি উন্নয়নের কাজ বন্ধ করে দিলেন পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতি। যদিও বিরোধী নেতাদের অভিযোগ, শাসক নেতারা কাটমানি না পাওয়ায় কাজ বন্ধ করেছেন। এবং বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভও জমেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চম্পা হাজরা ও সহ-সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জীব ঘোষ এবং মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ অসিত চট্টোপাধ্যায়, ব্লকের বেশ কয়েকটি উন্নয়নের কাজ পরিদর্শন করেন। তাঁদের অভিযোগ, বিভিন্ন কাজে যে ইমারতি দ্রব্য ব্যবহার হচ্ছে তা নিম্নমানের। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা পান্ডুয়ার বিডিও, এসডিও, জেলা শাসক দফতরে লিখিত জানান। এতে ব্লকের বারোটি কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পঞ্চায়েত সমিতির তহবিল থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার কাজ হচ্ছিল। বর্তমানে সেই কাজ বন্ধ রয়েছে।
পান্ডুয়ার রানাগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিঘর তৈরিতে নিম্নমানের ইস্পাত ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জীব ঘোষ। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ, বালিহাট্টার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি নিম্নমানের ইট দিয়ে তৈরি হচ্ছে এবং একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র-সহ বেশ কিছু জায়গায় নিম্নমানের কাজ হচ্ছে।
সঞ্জীব ঘোষের অভিযোগের ভিত্তিতে রানাগড় স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারি বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আইএসআই চিহ্নযুক্ত ইস্পাত ব্যবহার করেছি। অজানা কারণে কাজ বন্ধ হয়ে আছে।’’
সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য প্রদীপ সাহা বলেন, ‘‘ব্লকে উন্নয়নমূলক কাজ হলেই কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন শাসক দলের নেতারা। কাটমানি পাচ্ছেন না বলেই তাঁরা কাজ বন্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন।’’ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অজয় দুবে বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতারা কাটমানি পাচ্ছেন না বলেই কাজ বন্ধ করতে চাইছেন। এখন তাঁরা কাটমানির জন্যই একজোট হয়ে উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দিচ্ছেন।’’
পান্ডুয়ার বিডিও স্বাতী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy