প্রতীকী ছবি
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল শ্রীরামপুর পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের। সোমবার দুপুরে শ্রীরামপুর স্টেশনে ওই ঘটনায় মৃতার নাম রমা নাথ (৫২)। তিনি শ্রীরামপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। থাকতেন ওই ওয়ার্ডেরই সতীশচন্দ্র ঘোষ লেনে।
রেল পুলিশের অনুমান, রমাদেবী আত্মঘাতী হয়েছেন। রেল পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, উনি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়েছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আরও পরিষ্কার বোঝা যাবে। কেন ওই ঘটনা, তা স্পষ্ট নয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত করা হচ্ছে। থানায় কোনও অভিযোগ জমা পড়লে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’’
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ হাওড়াগামী ডাউন শেওড়াফুলি লোকাল শ্রীরামপুর স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখেই ওই ঘটনা ঘটে। ট্রেনের চাকায় রমাদেবীর দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। শেওড়াফুলি জিআরপি থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠায়।
রমাদেবী বিয়ে করেননি। থাকতেন বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে। তিনি টানা দু’বার ভোটে জিতে কাউন্সিলর হন। প্রথম বার ২০১০ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জেতেন। মাঝপথে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১৫ সালে তৃণমূলের টিকিটে জেতেন। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়াতেই শোরগোল পড়ে। পুরসভার একটি কর্মসূচিতে এ দিনই পুরপ্রধান অমিয় মুখোপাধ্যায়, উপ-পুরপ্রধান উত্তম নাগ-সহ অধিকাংশ তৃণমূল কাউন্সিলর দিঘা গিয়েছেন। তৃণমূল এবং বিরোধী দলের অন্য কয়েক জন কাউন্সিলর হাসপাতালে আসেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদবও চলে আসেন। মৃতার আত্মীয়েরা জানান, অন্য দিনের মতোই সোমবার সকালে রমাদেবী নিজের অফিসে বসে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। রাস্তায় বেরিয়েও স্বাভাবিক ভাবে সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন।
রমাদেবীর ভাইপো জয় নাথ বলেন, ‘‘কেন এমন ঘটল, ভেবে পাচ্ছি না। রাজনৈতিক বা পারিবারিক সমস্যা ছিল না। তবে, পিসির মা শয্যাশায়ী। তা নিয়ে পিসি বিচলিত ছিলেন। সেই কারণে এমন হতে পারে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, ওই ওয়ার্ডটি এ বার তফসিলি সংরক্ষিত হয়েছে। ফলে, এই ওয়ার্ড থেকে এ বার রমাদেবীর দাঁড়ানোর সম্ভাবনা ছিল না। তবে, এই নিয়ে তাঁর কোনও ক্ষোভ বা সমস্যা ছিল না বলে জয় এবং তৃণমূল শিবিরের দাবি। দিলীপবাবু বলেন, ‘‘ ‘‘এটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা। এর পিছনে রাজনৈতিক কারণ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy