কোন্নগরের সেই শিক্ষক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
জল গড়াল আরও।
কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজের শিক্ষক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে নিগ্রহ করা হয়েছিল গত বুধবার। তার পরেই হরিপালের বাহিরখণ্ড-নারায়ণপুর পঞ্চায়েতের পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মনসারাম ঘোষ ২২ বছর আগের একটি ঘটনা তুলে এনে সুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে তাঁকে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। এ বার পাল্টা মনসারামবাবুকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘চ্যালেঞ্জ’ ছুড়লেন সুব্রতবাবু। পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামেই সুব্রতবাবুর পৈতৃক বাড়ি।
রবিবার সুব্রতবাবু ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাইশ বছর পরে জানতে পারছি, আমার নামে অভিযোগ আছে। চ্যালেঞ্জ করছি, ওঁরা মামলার কাগজ বের করে দেখাক অভিযুক্তের তালিকায় আমার নাম ছিল। ন্যূনতম প্রমাণ ছাড়া আমার চরিত্র হনন চলছে।’’ এই ‘চ্যালেঞ্জ’-এর পরেও মনসারামবাবু মামলার কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। রবিবার তিনি বলেন, ‘‘মামলার কাগজপত্র আমাদের কাছে নেই ঠিকই, তবে উকিলের সঙ্গে দেখা করেছি। মামলার নথিপত্র বের করার চেষ্টা করছি। সুব্রতর বিরুদ্ধে অবশ্যই অভিযোগ করা হয়েছিল। আমিও চাই সত্য উদঘাটন হোক।’’
মনসারামবাবুর অভিযোগ, ১৯৯৭ সালে সুব্রতবাবু তাঁকে নিগ্রহ করেছিলেন। এক শিক্ষকের গায়ে সুব্রতবাবু কী করে হাত তুলেছিলেন, সেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলছে নানা মহলে। ফেসবুকে সুব্রতবাবু জানিয়েছেন, মনসারামবাবু ছিলেন তাঁর বাবার বন্ধু। দুই পরিবারে সম্প্রীতি ছিল। সুব্রতবাবুদের তিন ভাই এবং মনসারামবাবুর তিন ছেলের নাম একই। রাজনৈতিক কারণে (সুব্রতবাবুর কথায় ‘শ্রেণিবিদ্বেষ’) ওই সম্পর্কে চিড় ধরে। তাঁর দাবি, ২২ বছর আগে যে ঘটনার কথা উল্লেখ করা হচ্ছে, সেই সময়ে তিনি বাহিরখণ্ড গ্রামে একটি বাড়িতে পড়াতে গিয়েছিলেন। পরে জানতে পারেন, ওই বিবাদে তাঁর দাদা বাণীব্রতকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলা-পাল্টা মামলা হয়। ২০১২ সালে দু’পক্ষই মামলা তুলে নেয়।
ফেসবুকে সুব্রতবাবুর দাবি, ‘‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমার নামে কোনও অভিযোগও ছিল না।আমাকে সেই সময়ের দাপুটে সিপিএম নেতা বলা হয়েছে। অথচ সিপিএমের সদস্যপদ তখন আমার ছিলই না।’’ তাঁর তিন ছেলের নামে সুব্রতবাবুদের তিন ভাইয়ের নামের মিল থাকার বিষয়টি কাকতালীয় বলে দাবি করেছেন মনসারামবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy