ক্ষোভ: ডেপুটি কমিশনারকে ঘিরে অস্থায়ী কর্মীদের ভিড়। শুক্রবার, হাওড়া পুরসভায়। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
প্রায় দু’সপ্তাহ আগে হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকে ৪১৯ জন চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মীকে নিয়মিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। গত ৩০ জুন তৃণমূলের জেলা অফিসে বৈঠকে খোদ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই ওই কর্মীরা বকেয়া বেতন পাবেন। তাঁদের নিয়মিত করার বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু তার পরেও পুরসভার তরফে তাঁদের কোনও আশ্বাস দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার বৈঠকের আগে প্রশাসকদের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন ওই কর্মীরা। কিন্তু তাঁরা পুরসভায় এসে জানতে পারেন, ওই বৈঠক এ দিন সকালেই স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরেই ৯ মাস ধরে বেতন না পাওয়া ক্ষুব্ধ কর্মীরা ডেপুটি কমিশনারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, নেতা-মন্ত্রীরা কেন তাঁদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে পারলেন না সেই প্রশ্ন এড়াতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বৈঠক বাতিল করা হয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, গত ১৪ জুন প্রশাসকমণ্ডলীর সভা হয়। প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা রাজ্যের তিন মন্ত্রী অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষীরতন শুক্ল এবং প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সভার দিন ঠিক হয় শুক্রবার। সেই মতো আলোচ্য বিষয়বস্তু আগে সকলের কাছে পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে যেমন ছিল নিকাশির মতো গুরুপূর্ণ বিষয়, তেমনই ছিল ৪১৯ জন কর্মীর এক মাসের এককালীন বেতন দেওয়ার বিষয়টি ফয়সালা করা। কিন্তু এ দিন দুপুর পর্যন্ত প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান তথা পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ না আসায় বৈঠক আদৌ হবে কি না, তা নিয়েই সংশয় দেখা দেয়। পরে পুরসভা সূত্রে জানা যায়, বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। এর পরেই পুরসভা চত্বরে অপেক্ষমাণ অস্থায়ী কর্মীরা ডেপুটি কমিশনারকে ঘেরাও করেন।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘প্রশাসকেরা কথা দিয়েও কথা রাখতে পারেননি। এখনও পর্যন্ত আমাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই কর্মীদের প্রশ্ন এড়াতেই বৈঠক বাতিল করা হয়েছে।’’ এ ভাবে আচমকা বৈঠক স্থগিত করে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন মেয়র রথীনবাবুও। তিনি বলেন, ‘‘আজ সকালে আমাকে জানানো হয়, বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। এত তোড়জোড় করে ঠিক হওয়ার পরেও রাতারাতি কেন এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক স্থগিত করা হল বুঝলাম না। ৪১৯ জনকে নিয়ে যা হচ্ছে, তা-ও ঠিক হচ্ছে না।’’
রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরূপ রায় অবশ্য বলেন, ‘‘ইচ্ছাকৃত ভাবে বৈঠক স্থগিত করার বিষয় নেই। প্রশাসকমণ্ডলীর দুই সদস্য আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন। তাই প্রয়োজনীয় ‘কোরাম’-এর অভাবে বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। আর ৪১৯ জন কর্মীর ব্যাপারটি নিয়ে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি এক মাসের বেতন দিতে বলে দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy