ফাইল চিত্র।
নিজেরা কাজ হারিয়েছেন, তাই অন্যদেরও কাজ করতে দেবেন না তাঁরা। বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি চটকলের সামনে ধর্নায় বসা শ্রমিকদের এমন অদ্ভুত গা-জোয়ারি মনোভাবের জন্যই বেধে গেল গোলমাল। যা গড়াল রাস্তা অবরোধ পর্যন্ত।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়া জুট মিলে। ওই চটকলের গেটের সামনে ধর্না চলছে শ্রমিকদের। যার জেরে কাউকেই ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না তাঁরা। কিন্তু ওই চটকল চত্বরেই রয়েছে কয়েকটি ভাড়ার গুদাম ও কারখানা। সেখানকার কর্মীরা গত কয়েক দিন ধরে কাজে যেতে পারেননি ধর্নায় বসা চটকল শ্রমিকদের বাধায়। সোমবার তাঁরা ফের ভিতরে ঢুকতে গেলে চটকল শ্রমিকদের সঙ্গে গোলমাল বেধে যায় তাঁদের। ভিতরে ঢুকতে না পেরে শেষে ফোরশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ওই কর্মীরা।
গত ডিসেম্বরে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস দিয়ে হাওড়া জুট মিল বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। যার জেরে কাজ হারান প্রায় সাড়ে তিন হাজার কর্মী। পুনরায় ওই চটকল খোলার দাবিতে গেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। গেট দিয়ে কাউকে ঢুকতে বা বেরোতে দিচ্ছেন না তাঁরা। এ সব নিয়েই এ দিন গোলমাল শুরু হয় বলে অভিযোগ। অবরোধকারীদের তরফে দেবাশিস সামন্ত বলেন, ‘‘চটকল বন্ধ রাখার বিষয়টি মালিক ও শ্রমিকদের নিজেদের সমস্যা। আমরা কেন ভুগবে?’’ আবার হাওড়া জুট মিলে অবস্থানরত শ্রমিক দুর্গা চৌধুরী বলেন, ‘‘গত ৯ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে চটকল। মন্ত্রী-সহ প্রশাসনের সর্বস্তরে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। আমাদের অনেক টাকা বকেয়া রয়েছে। তাই এই ধর্না। সেই কারণেই কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’’
হাওড়া জুট মিলের মালিক সঞ্জয় মল বলেন, ‘‘কালই শ্রমিকদের জানানো হয়েছে যে, মিল খুলতে শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসা হবে। এর পরেও কেন ধর্না চলছে, জানি না।’’ সঞ্জয়বাবুর দাবি, কাঁচা মালের জোগান থাকলেও উৎপাদন ঠিকমতো হচ্ছিল না। তাই মিলটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy