প্রতীকী ছবি।
দলের প্রভাবশালী এক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নেতৃত্বের একাংশের বিরাগভাজন হয়েছিলেন হরিপালের তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্যা শম্পা দাস। এ বার মহিলা সংগঠনের ব্লক সভানেত্রীর পদ হারাতে হল তাঁকে। দলের ব্লক সংগঠনের কার্যকরী কমিটি থেকেও শম্পাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। তবে শম্পার অপসারণের প্রক্রিয়া আদৌ দলের নিয়ম মেনে হয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
শম্পার দাবি, ‘‘আমাকে অপসারণ করার আগে রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। আমি বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। প্রয়োজনে রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব। রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন ছাড়া কাউকে দলীয় পদ থেকে এ ভাবে কাউকে সরানো যায় না।’’ যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, শম্পার অপসারণের বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।
সরকারি নিয়মনীতি না-মেনে হরিপাল গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আমপানে পড়ে যাওয়া গাছ বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন শম্পা। তাঁর অভিযোগের আঙুল ছিল তৃণমূল পরিচালিত আশুতোষ পঞ্চায়েতের প্রভাবশালী এক সদস্যের দিকে। এর পরেই তিনি দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েন বলে শম্পার ঘনিষ্ঠদের দাবি। শম্পার অভিযোগ, তাঁকে দল থেকে ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তখনই। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, তাঁকে মহিলা সংগঠনের ব্লক সভানেত্রী এবং দলের কার্যকরী কমিটি থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে।
শম্পাকে দুই পদ থেকে অপসারণ করার বিষয়টি তাঁর নজরে এসেছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সদস্যাও আমাকে জানিয়েছেন। এ নিয়ে দলের ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব।’’
শম্পার অভিযোগ, ‘‘ব্লকে সংগঠনের দায়িত্বে থাকা অনেকেই দলকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে মনে করেন। যা মন চায়, তাই করেন। আমাকে দলের প্রতিটি হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়েছে সব কমিটি থেকে।’’ এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের জেলা সভানেত্রী করবী মান্নার প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি বিষয়টির সঙ্গে নিজেকে জড়াতে চাই না। এই নিয়ে কিছু বলতেও চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy