প্রতীকী ছবি।
ভোটার তালিকার বার্ষিক সংক্ষিপ্ত সংশোধন সংক্রান্ত শিবিরে কাজের জন্য ডেজিগনেটেড অফিসার হিসাবে চিঠি পাঠানো হয়েছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। সেই কাজ না করায় আরামবাগ বিধানসভা এলাকার ২৫ জন শিক্ষককে জেলা নির্বাচন দফতরের নির্দেশে মহকুমার নির্বাচন দফতর থেকে শো-কজ় করা হল।
গত বৃহস্পতিবার পাঠানো ওই চিঠিতে পাঁচ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট তথা ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক(নির্বাচন) অনন্য রায় বলেন, “যাঁরা কাজ করেননি, তাঁদের সকলকেই শো-কজ় করা হয়েছে। উপযুক্ত কারণ না দেখাতে পারলে জেলা দফতর থেকে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তিকরণ, পরিবর্তন, সংশোধন ইত্যাদি দাবি ও আপত্তি নিয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কাজ করার নির্দেশ রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। ওই দিনগুলির মধ্যে ২১ ডিসেম্বর থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতি শনিবারএবং রবিবার বিশেষ শিবিরের আয়োজনেরও নির্দেশ ছিল। আর সংশ্লিষ্ট বুথে বসে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কথা ছিল ডেজিগনেটেড অফিসারদের।
অভিযোগ, প্রথম দিকে হুগলির ১৮টি বিধানসভা এলাকায় অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই নির্বাচন কমিশনের নিয়োগপত্র গ্রহণ করতে চাননি। আরামবাগ বিধানসভা এলাকার ২৯০টি বুথের জন্য প্রথমে ১৪৫ জন শিক্ষক নিয়োগপত্র নিতে অস্বীকার করেন। পরে ব্লক এবং মহকুমা নির্বাচন দফতরের চাপে অনেকেই কাজ শুরু করলেও ২৫ জন কাজই করেননি বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সালেপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তরুণকুমার দে বলেন, “আমি স্কুলের টিচার ইনচার্জ। মিড ডে মিল-সহ স্কুল পরিচালনায় অসুবিধার কথা জানিয়ে নিয়োগপত্র নিতে চাইনি। শো-কজ়ের জবাব দিয়েছি।” দৌলতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জয়দেব কোনারের দাবি, “আমি গোঘাটের বেঙ্গাই পঞ্চায়েতের উপপ্রধানও। সমস্ত বিষয়টা ব্লক প্রশাসনকে জানালেও শো-কজ় করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy