তৎপর: কামারকুণ্ডু স্টেশনে পুলিশের টহল। নিজস্ব চিত্র
অনেক ক্ষেত্রেই বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের লক্ষ্য হচ্ছে রেলস্টেশন। তাই স্টেশনে স্টেশনে রেলের সম্পত্তি রক্ষা, সাধারাণ যাত্রী ও রেল কর্মীদের নিরাপত্তায় এবার ২৪ ঘন্টা নজরদারি চালাবে রেল সুরক্ষা বাহিনী এবং রেল পুলিশ। করা হবে রুট-মার্চও।
চলতি সপ্তাহ থেকেই হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার রেল স্টেশনগুলিতে কড়া নজরদারি শুরু করেছে রেল সুরক্ষাবাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে আরও বেশি পুলিশ কর্মী মোতায়েনের পাশাপাশি কম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনেও রেল সুরক্ষাবাহিনীর নজরদারি থাকছে। এমনকী নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে রেল পুলিশ খবর সংগ্রহও করবে। আগাম কোনও খবর থাকলেই পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হবে সংশ্লিষ্ট স্টেশনে।
নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা বেশিরভাগ সময়ই রেল স্টেশনগুলিকে আক্রমণের লক্ষ্য করছে। গত কয়েকদিনের আন্দোলনে তেমনটাই লক্ষ্য করা গিয়েছে। হাওড়ায় উলুবেড়িয়া স্টেশনেও দিন কয়েক আগে তাণ্ডব চালায় আন্দোলনকারীরা। অবরোধের পাশাপাশি আন্দোলনকারীরা মারমুখীও হয়ে উঠছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশনগুলিতে রেল সুরক্ষাবাহিনী নজরদারি আপাতত থাকবে বলে সূত্রের খবর।
কর্ড শাখা দিয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ দূরপাল্লার ট্রেন যায়। রাজধানী এক্সপ্রেসও ওই পথেই যায়। তাই রেল কর্তৃপক্ষ আর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। চলতি সপ্তাহে ডানকুনিতে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। পরিস্থিতি বুঝে সেখানে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বুধবার একটি নির্দিষ্ট সূত্রে বিক্ষোভ কর্মসূচির আগাম খবর থাকায় হাওড়া-বর্ধমান শাখার কামারকুণ্ডু স্টেশনে রেল পুলিশ ও রেল সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানরা রুটমার্চও করে।
রেল পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘কামারকুণ্ডু স্টেশনে রেল পুলিশের থানা রয়েছে। তাই বিশেষ সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাড়তি আরপিএফ এবং পুলিশের নজরদারি রাখা হচ্ছে সেখান থেকেই। প্রয়োজন অনুয়ায়ী বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে যাতে পুলিশ কর্মীরা দ্রুত রওনা দিতে পারেন। মানুষের ভীতি কাটাতেও নজরদারি জরুরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy