হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় ‘বেআইনি’ নিয়োগ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় ‘বেআইনি’ নিয়োগ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু বর্তমান পুর-প্রশাসক কমিটিকে রেখে ওই তদন্তে স্বচ্ছতা বজায় রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিদায়ী উপ-পুরপ্রধান তথা কমিটির অন্যতম সদস্য অমিত রায়। অমিত বলেন, ‘‘যাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের পুরসভায় রেখে তদন্ত করা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে পুর-প্রশাসক কমিটি ভেঙে দেওয়া হোক।’’
সম্প্রতি ওই পুরসভায় ‘গ্রুপ-সি’ এবং ‘গ্রুপ-ডি’ পদে অন্তত ৫৪ জনের নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বিরোধীদের অভিযোগ, নিয়োগ হওয়া লোকেদের অনেকেই তৃণমূলের নেতাকর্মী বা তাঁদের আত্মীয়। তালিকায় ছিলেন এক বিদায়ী কাউন্সিলরও। যে সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়, তাদের নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য ওই নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেন। তিনি জানান, নতুন করে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
অমিতের খেদ, অভিযোগের গুরুত্ব অনুধাবন করে পুরমন্ত্রী তথা দলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে হুগলির দায়িত্বে থাকা ফিরহাদ হাকিম এবং সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে বাঁচাতে সঠিক অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর পরেও কয়েক জনকে নিয়োগপত্র এবং বেতন দেওয়া হয়েছে।
অমিতের কথায়, ‘‘অভিজ্ঞতার নিরিখে অস্থায়ী সাফাইকর্মী এবং পিওনদের স্থায়ী করা যেত। তা হয়নি। বোর্ড-মিটিংয়ে এই নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলাম। নিয়োগ নিয়ে অন্ধকারে ছিলাম। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলছেন। অথচ এখানে দলকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে।’’ ক্ষোভের কথা দলের জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছেন বলে অমিত জানান।
অমিতবাবুর অভিযোগ প্রসঙ্গে পুর-প্রশাসক তথা বিদায়ী চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, ‘‘কোনও তদন্তের নির্দেশ পাইনি। সরকার লিখিত ভাবে যে নির্দেশ দেবে, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করব।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টির উপরে সাংগঠনিক ভাবে দল নজর রাখছে। স্বচ্ছতার প্রশ্নে দল আপস করে না। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy